ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের জনক আবদুল কাদের খানের মৃত্যু

পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের জনক আবদুল কাদের খানের মৃত্যু

ড. আবদুল কাদের খান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২১ | ০০:১১ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ | ০১:১৮

পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জনক হিসেবে পরিচিত বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদের খান মারা গেছেন।

রোববার সকালে ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৫।

পিটিভির বরাত দিয়ে ডন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ড. আবদুল কাদের খান মারা যান।

আবদুল কাদের খান করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে জানায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থাটি বলেছে, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ আগস্ট আবদুল কাদের খানকে খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রাওয়ালপিন্ডির একটি সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

গত মাসে এই পরমাণুবিজ্ঞানী অভিযোগ করে বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেননি।

ড. আবদুল কাদের খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা।

প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে তিনি ড. খান নামে পরিচিত মানুষের কাছে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিরক্ষাখাতে উন্নয়নে তার যে অবদান তা কখনও ভুলবে না পাকিস্তানের মানুষ। গোটা জাতি তার কাছে কৃতজ্ঞ।

বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতি একজন সত্যিকারের বন্ধুকে হারালো। যিনি অন্তর দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে বহু ক্ষতি হলো দেশের। তার অসাধারণ কর্মগুণ পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তির কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী আসাদ উমর বলেছেন, ড. আবদুল কাদের খান দেশকে অজেয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার এই চলে যাওয়ায় তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। 

১৯৩৬ সালে ভারতের ভোপালে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কাদের খান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি পরিবার নিয়ে পাকিস্তানে চলে যান।

আবদুল কাদের খানকে পাকিস্তানিরা ‘একিউকে’ বলেন। পাকিস্তানে দলমত-নির্বিশেষে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। বেসামরিক সব খেতাবই পেয়েছেন। ভালোবেসে তাকে ‘মহসিন-ই-পাকিস্তান’ বলা হয়।

আরও পড়ুন

×