ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

তাইগ্রে অঞ্চলে বিমান হামলায় নিহত অন্তত ৫৬

তাইগ্রে অঞ্চলে বিমান হামলায় নিহত অন্তত ৫৬

ইথিওপিয়ায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত বহু মানুষ বাস করছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২২ | ২১:৩৩ | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২২ | ২২:০৬

পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলে বিমান হামলায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩০ জনের মতো।

বিদ্রোহী ও সাহায্য সংস্থার কর্মীদের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, নৃশংস সংঘর্ষের কারণে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বিমান হামলায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।

তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মুখপাত্র গেটাচেউ রেডা শনিবার টুইটারে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের বাহিনী ‘আরও একটি নিষ্ঠুর ড্রোন হামলা’  চালিয়েছে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে। এ হামলায় ৫৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা পশ্চিম তাইগ্রে থেকে সংঘাতের কারণে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

দুই সাহায্যকর্মী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, দেদেবিত শহরে শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানো হয়।

তারা আরও জানান, এ হামলায় অসংখ্য শিশু আহত হয়েছে। নিহতদের সংখ্যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট আদানে ও সরকারের মুখপাত্র লেগেসে টুলু হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের মুখপাত্র বিলেন সেয়ুমও কোনো মন্তব্য করেননি হামলার বিষয়ে।

১৪ মাস ধরে চলা সংঘাতে সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সরকার বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে বলেও জানানো হয়।

সাহায্য সংস্থাগুলোর তৈরি করা নথি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক হামলার আগে দেশটিতে ১৮ অক্টোবরের পর থেকে বিমান হামলায় অন্তত ১৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ২১৩ জনের মতো।

২০১৮ সালে আবি আহমেদ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর দেশটির রাজনীতিতে পটপরিবর্তন শুরু হয়। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটান তিনি। এ উদ্যোগের কারণে ক্ষমতাসীন হওয়ার এক বছরের মধ্যেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে যান আবি।

তবে তার রাজনৈতিক সংস্কারের বিরোধিতা করে বসে টাইগ্রের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এই সংস্কারের অজুহাতে আবি তাদের কোণঠাসা করে ফেলছেন। এই ঘটনা সরকারের সঙ্গে টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের দীর্ঘদিনের বিরোধ উসকে দেয়। ফের শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত।

আরও পড়ুন

×