সুনামি ‘নজিরবিহীন বিপর্যয়’ তৈরি করেছে: টোঙ্গা সরকার

সুনামির পর বিশ্বের সঙ্গে টোঙ্গার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ছবি: বিবিসি অনলাইন।
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২ | ০৭:২২ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২ | ২২:৪৪
সমুদ্রের তলদেশের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামিতে আক্রান্ত হওয়ার পর টোঙ্গা সরকার বলেছে, সুনামি টোঙ্গায় ‘নজিরবিহীন বিপর্যয়’ তৈরি করেছে। ওই সুনামির পর সরকারের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম কোনো প্রতিক্রিয়া।
এক বিবৃতিতে দেশটির সরকার জানিয়েছে, সুনামিতে স্থানীয় দুই ব্যক্তি এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন। সুনামিতে কিছু ছোট এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি দ্বীপের সব বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং অন্য একটি দ্বীপের কেবল দুটি বাড়ি অক্ষত আছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
এদিকে অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট ছাইয়ের কারণে ত্রাণ তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবীরা দেশটির প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিষ্কার করছে যেন বিমানে করে জরুরি প্রয়োজনীয় খাবার পানি ও খাদ্য নিয়ে আসা যায়।
অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিশ্বের সঙ্গে দেশটির পানির তলদেশের একমাত্র কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বিশ্বের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ এই দেশটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সর্বশেষ হালনাগাদ করা তথ্যে সরকার বলেছিল, দেশের ইন্টারনেট বন্ধ আছে। তবে কিছু স্থানীয় ফোন সার্ভিস চালু আছে এবং পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনে কাজ চলছে। এছাড়া সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত: স্থানীয় সময় গত শনিবার বিকেলে টোঙ্গার উপকূলে হুনগা টোঙ্গা–হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এর জেরে দেশটির দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর পরপরই দেশটির আবহাওয়া দপ্তর দেশজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করে। আর সতর্কতা জারির পর টোঙ্গার বাসিন্দারা উঁচু স্থানগুলো আশ্রয় নিতে ছুটে যায়। এরপর দেশটিতে সুনামি আঘাত হানে।