বইয়ের ভুবন
নারী ও প্রাণী প্রেমের দ্বৈরথ

বাঘারু, লেখক-মৌরী তানিয়া, প্রকাশনা-বাতিঘর, প্রচ্ছদ-মোস্তাফিজ কারিগর, দাম-২০০ টাকা
গোলাম কিবরিয়া
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২১ | ১২:০০
মানব জাতিকে শ্রেষ্ঠ বলা হয় তার অনুভূতি ও বিবেকের জন্য। কালে কালে মানুষ তার অনুভূতি ও বিবেক ব্যবহার করে নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করিয়েছে। যে অনুভূতি ও বিবেকের জন্য এই শ্রেষ্ঠত্ব- কখনো কখনো তা-ই হয়ে ওঠে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণ। মৌরি তানিয়ার রচিত 'বাঘারু' উপন্যাসে তেমনই এক টানাপোড়েনের রুদ্ধশ্বাস কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। বাঘারু উপন্যাসকে বলা যায় মানব ও প্রাণী প্রেমের দ্বৈরথ। পোষা প্রাণীর প্রতি ভালোবাসার আখ্যান পুরাণে এবং আমাদের সমসাময়িক সাহিত্যে নতুন না হলেও মৌরী তানিয়ার সাবলীল ভাষা ও উপস্থাপনার বৈচিত্র্যে অনেকটাই অনন্যতার মাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলা যায়।
উপন্যাসের মূল চরিত্র মফস্বল শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের দুই বোন মিলা ও মিতি। মিতি ছোট, মিলা বড়। কিন্তু উপন্যাসের বর্ণনার আবর্তে মিতিই প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠে। বড় বোন মিলার বিয়ে হয়ে যায় অল্প বয়সেই। মিতিরও একই পরিণতি ঘটত যদি না বাঘারু বাধা হয়ে না দাঁড়াত। এটা মিতি ও তার পোষা কুকুর বাঘারুর কাহিনি। মিতি দুরন্ত, সাহসী আর একরোখা। সে পড়ালেখা করতে চায়, অনেক বড় হতে চায়। কিন্তু একের পর এক বিপদ আসতে থাকে তার জীবনে। কিন্তু বাঘারুর সহায়তায় ভয়াবহ সব বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে এক সময় মিতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। মফস্বল শহর থেকে মিতি চলে আসে ঢাকায়। বাঘারুও আসে তার সঙ্গে। পরিচয় হয় তার থেকে সিনিয়র অভির সাথে। অভি বুয়েট পর্ব শেষ করে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ চলে যায়। অভির সঙ্গে বিয়ে আর বুয়েট পর্বও একদিন শেষ হলো তার। অভি আগে পাস করে বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করতে গেল বিদেশে। তার ইচ্ছা, মিতিও পাস করার পর তার কাছে চলে যাবে। বাঘারুকে ছেড়ে কিছুতেই যেতে চায় না সে। উপন্যাসের পাতায় পাতায় লিপিবদ্ধ রয়েছে সেসব চাঞ্চল্যকর আখ্যান। কাকে বেশি ভালোবাসে মিতি? প্রেমিককে? না পোষা কুকুরকে? এ সংকটের শেষ কোথায়? সেটাই উপন্যাসের মূল উপজীব্য।
মৌরী তানিয়ার গল্প বলার ক্ষমতা পাঠককে মুগ্ধ করবে। পড়তে পড়তে পাঠক মনে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর জন্য মায়া জমে উঠলে অবাক হবার কিছু নেই।
এমন কাহিনি ও চরিত্রের বিন্যাস বেশ নতুন বলা যায়। উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে পাঠক মনে কৌতূহল জন্মাবে। কারণ একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। মনে হবে এর পর কী ঘটতে যাচ্ছে। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে পরিণতি। যেমন হাসির উদ্রেক ঘটার মতো ঘটনা রয়েছে, ঠিক তেমনি পাঠক মনের কোনো এক কোণে বিষাদের ছায়াও নেমে আসবে। আয়তনে ক্ষুদ্র এই উপন্যাসটিতে একই সঙ্গে এদেশের সমাজ ও অর্থনীতির বাস্তবতারও দেখা মিলবে। যে সমাজটি পুরুষতান্ত্রিক। যেখানে মেয়েদের তুলনামূলকভাবে অধিক লড়াই করে বাঁচতে হয়। উপন্যাসে নারীর সেই লড়াইয়ে শামিল হয় প্রকৃতির প্রতিনিধি পোষ্য প্রাণী বাঘারু। যে লড়াইয়ে একজন মেয়ে পাশে পেতে চেয়েছিল তার আর সব প্রিয়জনকে। কিন্তু তারা কেউই পাশে থাকেনি। কখনও অতিনাটকীয় মনে হলেও তা লেখকের বয়ানে বিশ্বাসযোগ্যই মনে হবে পাঠকের। লেখকের গল্প বলার বিশেষ ধরণটিই মূলত জীবন্ত করে তুলেছে উপন্যাসটিকে। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জয়পুরহাট জেলার গোপীনাথপুর গ্রামে জন্ম মৌরী তানিয়ার। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। 'বাঘারু' উপন্যাসটি তার প্রকাশিত দ্বিতীয় গ্রন্থ। এই পদচারণায় তার রচনা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা যায়।
উপন্যাসের মূল চরিত্র মফস্বল শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের দুই বোন মিলা ও মিতি। মিতি ছোট, মিলা বড়। কিন্তু উপন্যাসের বর্ণনার আবর্তে মিতিই প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠে। বড় বোন মিলার বিয়ে হয়ে যায় অল্প বয়সেই। মিতিরও একই পরিণতি ঘটত যদি না বাঘারু বাধা হয়ে না দাঁড়াত। এটা মিতি ও তার পোষা কুকুর বাঘারুর কাহিনি। মিতি দুরন্ত, সাহসী আর একরোখা। সে পড়ালেখা করতে চায়, অনেক বড় হতে চায়। কিন্তু একের পর এক বিপদ আসতে থাকে তার জীবনে। কিন্তু বাঘারুর সহায়তায় ভয়াবহ সব বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে এক সময় মিতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। মফস্বল শহর থেকে মিতি চলে আসে ঢাকায়। বাঘারুও আসে তার সঙ্গে। পরিচয় হয় তার থেকে সিনিয়র অভির সাথে। অভি বুয়েট পর্ব শেষ করে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ চলে যায়। অভির সঙ্গে বিয়ে আর বুয়েট পর্বও একদিন শেষ হলো তার। অভি আগে পাস করে বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করতে গেল বিদেশে। তার ইচ্ছা, মিতিও পাস করার পর তার কাছে চলে যাবে। বাঘারুকে ছেড়ে কিছুতেই যেতে চায় না সে। উপন্যাসের পাতায় পাতায় লিপিবদ্ধ রয়েছে সেসব চাঞ্চল্যকর আখ্যান। কাকে বেশি ভালোবাসে মিতি? প্রেমিককে? না পোষা কুকুরকে? এ সংকটের শেষ কোথায়? সেটাই উপন্যাসের মূল উপজীব্য।
মৌরী তানিয়ার গল্প বলার ক্ষমতা পাঠককে মুগ্ধ করবে। পড়তে পড়তে পাঠক মনে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর জন্য মায়া জমে উঠলে অবাক হবার কিছু নেই।
এমন কাহিনি ও চরিত্রের বিন্যাস বেশ নতুন বলা যায়। উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে পাঠক মনে কৌতূহল জন্মাবে। কারণ একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। মনে হবে এর পর কী ঘটতে যাচ্ছে। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে পরিণতি। যেমন হাসির উদ্রেক ঘটার মতো ঘটনা রয়েছে, ঠিক তেমনি পাঠক মনের কোনো এক কোণে বিষাদের ছায়াও নেমে আসবে। আয়তনে ক্ষুদ্র এই উপন্যাসটিতে একই সঙ্গে এদেশের সমাজ ও অর্থনীতির বাস্তবতারও দেখা মিলবে। যে সমাজটি পুরুষতান্ত্রিক। যেখানে মেয়েদের তুলনামূলকভাবে অধিক লড়াই করে বাঁচতে হয়। উপন্যাসে নারীর সেই লড়াইয়ে শামিল হয় প্রকৃতির প্রতিনিধি পোষ্য প্রাণী বাঘারু। যে লড়াইয়ে একজন মেয়ে পাশে পেতে চেয়েছিল তার আর সব প্রিয়জনকে। কিন্তু তারা কেউই পাশে থাকেনি। কখনও অতিনাটকীয় মনে হলেও তা লেখকের বয়ানে বিশ্বাসযোগ্যই মনে হবে পাঠকের। লেখকের গল্প বলার বিশেষ ধরণটিই মূলত জীবন্ত করে তুলেছে উপন্যাসটিকে। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জয়পুরহাট জেলার গোপীনাথপুর গ্রামে জন্ম মৌরী তানিয়ার। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। 'বাঘারু' উপন্যাসটি তার প্রকাশিত দ্বিতীয় গ্রন্থ। এই পদচারণায় তার রচনা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা যায়।
- বিষয় :
- গোলাম কিবরিয়া
- বইয়ের ভুবন