লোকাল বাসে যাত্রী হেনস্তা!

ফাইল ছবি
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫ | ০০:৩৬
যারা প্রথম প্রথম ঢাকায় আসেন, তাদের কাছে শহরের রাজপথ গোলক ধাঁধার মতো মনে হয়। প্রতিদিন ঢাকা শহরে নতুন নতুন মানুষের পা পড়ে। অনেকেই প্রথমত আর্থিক সংকট নিয়ে ঢাকায় আসেন। তারপর একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে কম খরচে যেতে উঠে পড়েন ঢাকা শহরের নিত্যদিনের ব্যস্তময় চেহারার কঙ্ক্ষিত লোকাল বাসে। এই নতুন আসা মানুষের কেউ মানিব্যাগ ও ফোন পকেটমারের কাছে সহজেই হারিয়ে ফেলে হতাশ হয়ে যান। কেউবা পড়েন অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টির খপ্পরে। এমন গল্প কারও অজানা নয়। কিন্তু বাসের হেলপার যখন এসব নতুন যাত্রীকে এক জায়গায় নামানোর নাম করে আরেক জায়গায় নামায়, তখন তারা আরও বেশি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন।
ঢাকায় নতুন আসা মানুষ সঠিক ঠিকানায় খুব কমই নামতে পারেন। প্রতিটি স্টপেজে বাস থামানোর আগে যাত্রীরা নামবেন কিনা, জিজ্ঞেস করতে হবে। কিন্তু তা না করে নতুন করে যাত্রী তোলার জন্য হন্তদন্ত হয়ে পড়ে। এতে অসহায় মানুষ বুঝতে না পেরে বাস থেকে নামতে পারেন না। তখন তাদের সঠিক গন্তব্যের চাইতে আগে কিংবা অনেক পরে নামতে হয়। তারপর সেই ভুল স্টপেজ থেকে আবার তাদের সঠিক গন্তব্যে যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বাসের হেলপারদের উদাসীনতা, সেই সঙ্গে বেশি যাত্রী ওঠানোর প্রতিযোগিতা কিংবা যাত্রীদের অচেনা পথঘাটের কারণে অন্যমনস্ক হয়ে পড়া এর সবচেয়ে বড় কারণ।
তাই লোকাল বাসের হেলপারদের সচেতন করতে হবে। ঢাকার লোকাল বাস মালিক সমিতি থেকে এই আহ্বান কামনা করছি। অনেক মানুষ এই পেরেশানির শিকার হচ্ছেন এবং অনেক সময় তা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। ঢাকা শহরের লোকাল বাস মালিক সমিতিগুলোর উচিত হবে যাত্রীদের এই প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে তাদের যাত্রার নিরাপত্তা ও জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
লোকাল বাসের পরিবেশও সুস্থ রাখতে হবে। বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি হেলপারদের সহনশীল হতে হবে। কিন্তু প্রায়ই চোখে পড়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাড়তি ভাড়া নিয়ে হেনস্তা, নারীদের সঙ্গে বাজে আচরণ ইত্যাদি। এসব নিরসনে পুলিশ প্রশাসনের তদারকি জোরদার করার দাবি জানাচ্ছি।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়: শিক্ষার্থী,
নওগাঁ সরকারি কলেজ
[email protected]
- বিষয় :
- বাস