ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বয়স কি শুধু একটি সংখ্যা নাকি সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা এক অন্য বাস্তবতা

বয়স কি শুধু একটি সংখ্যা নাকি সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা এক অন্য বাস্তবতা

ছবি- সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১১:৫৬

বর্তমান সমাজ বয়সের ব্যবধানযুক্ত সম্পর্কে প্রাধান্য দিচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধানে সম্পর্ক সুন্দর হয়। আবার কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রীর এবং প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে বয়সের পার্থক্য তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। এই ধরনের সম্পর্ক শুধু বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সম্পর্কের সুবিধা ও সমস্যাগুলো নির্দিষ্ট হতে পারে, তবে যে কোনো সম্পর্ক, বয়সের পার্থক্য যাই হোক না কেন, কেবল তখনই কাজ করবে যখন উভয় পক্ষ একে অপরকে সম্মান, বোঝাপড়া এবং সঠিকভাবে যোগাযোগ করবে। এখানে বয়সের ব্যবধানযুক্ত সম্পর্কের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা এবং এর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ আলোচনা করা হলো। 

বয়সের ব্যবধানের সুবিধা:

প্রথমত, এই সম্পর্কগুলোতে প্রত্যেক সঙ্গীর আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। একজন বয়স্ক ব্যক্তি তাদের প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে তরুণ সঙ্গীকে জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারেন। অন্যদিকে, তরুণ সঙ্গী নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্দীপনা এনে সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, বয়সের পার্থক্যের কারণে সঙ্গীরা একে অপরের পরিপূরক হওয়ার দক্ষতা ও শক্তি নিয়ে আসেন। বয়স্ক সঙ্গী আর্থিক স্থিতি ও নিরাপত্তা দিতে পারেন, যেখানে তরুণ সঙ্গী সম্পর্কের মধ্যে উদ্দীপনা ও অ্যাডভেঞ্চার যোগ করেন।

তৃতীয়ত, এমন সম্পর্কগুলোয় সঙ্গীরা প্রথাগত সামাজিক প্রত্যাশার বিপরীতে যেয়ে তাদের সম্পর্ক নিজেদের মত করে গড়ে তোলার সুযোগ পায়। এটি সম্পর্ককে আরও গভীর হতে সাহায্য করে।

তবে, এই সম্পর্কগুলোতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বয়সের ব্যবধানের কারণে বয়স্ক সঙ্গীর স্বাস্থ্যের অবনতি বা আয়ুষ্কালজনিত বিষয় নিয়ে তরুণ সঙ্গীর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা প্রয়োজন হতে পারে।

এছাড়া, সঙ্গীরা প্রায়শই জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকেন। একজন যখন অবসরের কথা ভাবেন, অন্যজন তখন ক্যারিয়ারের উন্নয়নে মনোযোগী থাকেন। এই পার্থক্য তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এই সমস্যা সমাধান করতে পর্যাপ্ত আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন। 

সবশেষে, সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, এমনকি অপরিচিত ব্যক্তিদের মন্তব্য দম্পতিকে মানসিকভাবে চাপে ফেলতে পারে। এমন চাপ দম্পতিকে মাঝে মাঝে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতা অনুভব করাতে পারে, যা সম্পর্কের মধ্যে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা আরও কঠিন করে তোলে। তবে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে সঙ্গীদের একে অপরের প্রতি বোঝাপড়া থাকা উচিত এবং নেতিবাচকতারমূলক কথাগুলো উপেক্ষা করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
 

আরও পড়ুন

×