ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

নীল জল দিগন্ত ছুঁয়ে

নীল জল দিগন্ত ছুঁয়ে

বিদ্যা সিনহা মিম

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫ | ০৪:৩৫

ঘুরে বেড়াতে সবারই ভালো লাগে। সেই সময়ে সঙ্গে যদি প্রিয় মানুষটি থাকে তাহলে আনন্দটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। শুটিংয়ের প্রয়োজনে দেশের বাইরে প্রায়ই যাওয়া হয়। তবে কোনো শুটিংয়ে নয়, এবার ঈদের ছুটিতে দক্ষিণ এশিয়ার সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলাম ঘুরতে। জল-পাহাড়ে কেটেছে দারুণ কিছু সময়। আমার সঙ্গে ছিলেন স্বামী সনি পোদ্দার। নাশতা করে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছি দু’জনে। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়েছে। নিরিবিলি সময় কেটেছে দু’জনের। স্মৃতি রোমন্থন হয়েছে।

সুন্দর জায়গার লোভ সামলাতে পারিনি বলে মুহূর্তগুলো বন্দি করে রাখতে পেশাদার ফটোগ্রাফার দিয়ে নিজেদের ছবিও তুলেছিলাম। হাতে হাত রেখে সনির সঙ্গে এক পা, দু পা, চার পা করে পাশাপাশি কত পথ যে হেঁটেছি, তার ইয়ত্তা নেই। সময় কাটানোর জন্য এত সুন্দর জায়গা দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফুলেল নকশার ক্যাজুয়াল স্লিভলেস গাউন, গোলাপি টি শার্টসহ আরও কয়েকটি ড্রেস পরেছিলাম। বেশ কয়েকটি ড্রেস পরিবর্তন করে ছবি তুলেছি। সুন্দর কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে শেয়ার করি সবসময়। যেজন্য এবারও ঘোরাঘুরির বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এর আগে গিয়েছিলাম দ্বীপদেশটির সমুদ্রসৈকতে। এ ছাড়া দেশটির পাহাড়ি এলাকা আর জলপ্রপাতে ঘুরে বেড়ানোর ছবিও পোস্ট করেছিলাম। এবারের ভ্রমণটি অন্যরকম ছিল।

সবুজে ঘেরা শ্রীলঙ্কার কান্ডালামে লেকঘেঁষা এক রিসোর্টের সুইমিং পুলে জলকেলিতে মেতে উঠেছিলাম। এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে নীল জলরাশি। প্রকৃতির এমন অসাধারণ আবহে নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছি। পুলে মাথায় টুপি পরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি। কোনো প্রিয় জায়গায় গেলে সেখানকার স্থানীয় ফুড আমার চাই-ই চাই। ইতিহাস-ঐতিহ্য জানার চেষ্টা করি। শ্রীলঙ্কার নানারকম সুস্বাদু খাবার খেয়েছি দু’জনে। আরও কিছু জায়গা ঘোরার বাকি আছে। সবকিছু মিলিয়ে অন্যরকম মুগ্ধতা নিয়ে দেশে ফিরতে পারব বলে আশা করছি। শুধু কী দেশের বাইরে ঘুরতে গেলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই তা কিন্তু নয়।

দেশের মধ্যে যতগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান আছে সেখানেও ঘুরতে ভালো লাগে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। সেখানের সৌন্দর্য আমাকে বেশ টানে। পর্যটনশিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত অনেক হোটেল, বাংলাদেশ পর্যটনকেন্দ্র নির্মিত মোটেল ছাড়াও সৈকতের কাছেই রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচতারকামানের হোটেল।

এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্রসৈকত, যা ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। সাগরের নীল জলরাশি আর ঢেউয়ের গর্জন সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত এটি। সৃষ্টিকর্তা যেন রূপসী বাংলার সব রূপ ঢেলে দিয়েছে বালুর আঁচলে। প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক আসেন এখানে। সময় পেলেই ঘুরতে যাই। v 

আরও পড়ুন

×