ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চাউলের বাজারে নজরদারি নিশ্চিত করুন

চাউলের বাজারে নজরদারি নিশ্চিত করুন

প্রতীকী ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪ | ২১:৫০

আবারও মিল পর্যায়ে চাউলের দাম কেজিপ্রতি দুই-তিন টাকা বাড়িয়া যাওয়ার যে সংবাদ শুক্রবার সমকাল দিয়াছে, উহাতে বিস্মিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রহিয়াছে। প্রথমত, সাম্প্রতিক বোরো মৌসুমে ধানের যথেষ্ট উৎপাদন হইয়াছে বলিয়া আমরা জানি; মৌসুমও শেষ হইয়াছে বেশিদিন হয় নাই। দ্বিতীয়ত, চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অস্থিরতার কথা বলা হইলেও অন্তত চাউলকল পর্যায়ে উহার প্রভাব উল্লেখযোগ্য নহে বলিয়া সকলে জানে। বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। উহার মধ্যে মিল মালিকরা চাউল লইয়া যেই কারসাজি করিতেছেন, তাহা হতাশাজনক।

এই অভিযোগ নূতন নহে, দেশের ব্যবসায়ীদের একটা অংশ সুযোগ পাইলেই নিত্যপণ্যের বাজারকে অস্থির করিয়া তোলে। কিন্তু ইহার কুফল ভোগ করিতে হয় ভোক্তাসাধারণকে বিশেষত সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের; ইতোমধ্যে গত দুই বৎসর যাবৎ চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যাহাদের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। যখন এই কারসাজি হয়, চাউলের ন্যায় প্রধান খাদ্যপণ্য লইয়া তখন সাধারণ ভোক্তাদের স্থির থাকার কোনো উপায় থাকে না। সরবরাহ শৃঙ্খলে কোথাও সমস্যা রহিয়াছে কিনা, নিয়মিত ভিত্তিতে তাহার তদারকি জরুরি। চাউলের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ধানের প্রভাব রহিয়াছে কিনা, উহা যদ্রূপ দেখিতে হইবে, তদ্রূপ খোদ চাউলকল মালিকরা সুযোগ লইতেছে কিনা, উহাও উপেক্ষা করিবার সুযোগ নাই। বিশেষত চাউলের দাম স্থিতিশীল রাখিবার ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকার প্রত্যাশিত।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সমকালকে নিশ্চিত করিয়াছেন, ইতোমধ্যে বাড়তি দামে চাউল বিক্রয় করিবার জন্য এক মিল মালিকসহ দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হইয়াছে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবেও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাউলের বাজারে নজর রাখিতে হইবে। পাশাপাশি বাজারে হস্তক্ষেপ এবং সাধারণ মানুষের স্বস্তির জন্য টিসিবি এবং ওএমএসের মাধ্যমে চাউলসহ নিত্যপণ্য সরবরাহ জোরদার করিতে হইবে।  

আরও পড়ুন

×