গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে বক্তারা
নির্বাচন ঘিরে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে অপরাধীদের

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২২ | ১০:৪৩ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২২ | ১০:৪৩
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সরকার ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক ব্যবসাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত অপরাধীদের ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, সরকার গুন্ডা-মাস্তানদের দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে দমনপীড়ন শুরু করছে। তবে ক্ষমতাসীনদের আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার দুঃস্বপ্ন পূরণ হবে না।
সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, যাঁরা বাংলাদেশে ক্যাসিনো চালু করেছেন, জুয়া চালু করেছেন- তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোর্ট-কাচারি কোথায়? তাঁরা গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিচ্ছেন!
তিনি বলেন, এই সরকার একটি নিষ্ঠুর সরকার। সরকারি দলের লোকজন মনে করে, আমরা ক্রীতদাস। আমরা এই সরকার চাই না। এই অত্যাচারী সরকারকে যারা সাহায্য-সহযোগিতা করছে, তাদের বাংলাদেশ থেকে যেতে দেওয়া হবে না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অনেক দেনদরবার করার পর পুলিশের সবচেয়ে বড় কর্মকর্তাকে জাতিসংঘ আমন্ত্রণ জানিয়েছে; তিনি ভিসা পেয়েছেন। কিন্তু এই কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এর চেয়ে লজ্জার কিছু থাকতে পারে? পুলিশকে আজ সারা পৃথিবীর বুকে নিন্দার পাত্র বানানো হয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার বাংলাদেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে। বিএনপি ও বিরোধী দল থেকে শুরু করে সব দলের মিছিল-মিটিংয়ে হামলা করা হচ্ছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। এভাবে খেলা চালিয়ে যেতে চাইলে সরকারকে জনগণ লাল কার্ড দিয়ে এ দেশ থেকে বের করে দেবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, নানা জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশে এ সরকারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলা করছে এবং একই সঙ্গে রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীও হামলা চালাচ্ছে। হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। ফলে তারা দেশে নানাভাবে লুটপাট করে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। এখন তারা তেলের দাম বাড়িয়েছে। পানির দাম, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এভাবে জনগণকে তারা শোষণ করছে।
গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর বলেন, সরকার দেশটাকে ভারতের গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে দিতে চায়। আমরা ভারতের জিঞ্জির পরার জন্য পিন্ডির জিঞ্জির ভাঙিনি। আজকে সরকারের পতন ঘনিয়ে এসেছে। আর কোনো ভণ্ডামির সুযোগ নির্বাচন কমিশন পাবে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ আরও অনেকে।