ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩২ নেতার পদ স্থগিত

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১১:৪৫ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১১:৫৩
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩২ নেতার পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল জানিয়েছেন।
যাদের পদ স্থগিত রাখা হয়েছে তারা হলেন, সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ইউনুচ আলী রাহুল, মো. সালাহউদ্দিন, আকন মামুন, খায়রুল আলম সবুজ, মারজুক আহমেদ, জুয়েল মৃধা, সালেহ মো. আদনান, আবুল কালাম আজাদ, সোহরাব হোসেন সুজন। সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মাইনুল ইসলাম সোহান, কাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজু, এস এম ফয়সাল, কামরুজ্জামান কামরুল, মীর ইমরান হোসেন মিথুন, বাছিরুল ইসলাম রানা, আজিজুল হক জিয়ন, আরিফুর রহমান আমিন, মিজানুর রহমান মিজান, ফেরদৌস হোসেন ফয়সাল, আল মামুন, আরিবা নিশীথ। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, এম এ রহিম শেখ, শহীদুল ইসলাম নয়ন, মামুন মজুমদার, নজরুল ইসলাম রাঢ়ী। সহ আইন সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ, সহ পাঠাগার সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিচ ও সহ অর্থ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন।
এ বিষয়ে সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, তার বিরুদ্ধে পদ বঞ্চিতরা লিখিত অভিযোগও দেননি। মূলত, ছাত্রদলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করার জন্য কেউ এটা করছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে- তার শিক্ষাগত সার্টিফিকেট অনলাইনে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ২০০৩ সালের সার্টিফিকেটতো অনলাইনে কারোরটাই পাওয়া যাবে না। তার সব সার্টিফিকেটের মূল কপি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সমর্পণ করবেন বলেও জানান তিনি।
যুগ্ম সম্পাদক সালেহ মো. আদনানের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ না তুললেও তার পদও স্থগিত রাখা হয়েছে। রাগে, দুঃখে আর অভিমানে তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন একজন ছাত্রদল নেতা। তিনি বলেন, আদনানের মতো পরিশ্রমী, ত্যাগী আর যোগ্য নেতার বিরুদ্ধে অহেতুক ষড়যন্ত্র চলছে। এটা শুধু তার জন্য নয়, পুরো সংগঠনের জন্য খুব বিব্রতকর অবস্থা।
সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন বলেন, তার বিরুদ্ধে বিবাহের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি এরকম প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে রাজনীতিই ছেড়ে দিবেন এবং যে কোনো শাস্তি মেনে নিবেন।
পদবঞ্চিত নেতা শামীম হোসেন বলেন, তারা কারো পদ স্থগিত কিংবা বহিস্কারের জন্য আবেদন জানাননি। তারা চেয়েছেন- কমিটিতে যেহেতু এসব নেতারা আসতে পেরেছেন সেহেতু তাদেরকেও যেনো কেন্দ্রীয় কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রদল হচ্ছে একটি পরিচ্ছন্ন ছাত্র সংগঠন। এখানে নেতা হওয়ার যোগ্যতার জন্য যেসব বিধি রয়েছে সেসব অনুসরণ করেই কমিটি দেওয়া হয়েছে। এরপরও অভিযোগ আসায় তদন্ত করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, সংগঠনের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আগে তারা অভিযোগ বাক্স খুলেছেন। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তা জমা দিতে বলেছেন। যাদের বিরুদ্ধে তখন অভিযোগ পাইনি তাদের দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখন আবার যেহেতু অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেহেতু স্বচ্ছতার জন্য আবার তদন্ত করা হবে।
- বিষয় :
- ছাত্রদল
- কেন্দ্রীয় কমিটি
- পদ স্থগিত