ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি: মতিয়া চৌধুরী

শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি: মতিয়া চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩ | ১২:৪৬ | আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ | ১২:৪৬

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি, মানুষের অধিকার ফিরে পেয়েছি।

আগামী ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যেদিন ফিরে এসেছিলেন সেদিন প্রকৃতিও অঝোর ধারায় কেঁদেছিল। সেদিন এয়ারপোর্টে লক্ষ লক্ষ জনতার মুখে স্লোগান ছিল ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন হলে দাঁড়িয়ে বলতে পারি চিকিৎসা সুযোগ নয়, চিকিৎসা আমার অধিকার। এভাবেইে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এদেশের মাটিতে পদার্পণ করে বলেছিলেন, আমার আর হারানোর কিছু নাই। আমি পিতা-মাতা-ভাই, আত্মীয় হারিয়ে বাংলার জনগণের কাছে ফিরে এসেছি। আপনারাই আমার আপনজন, আপনারাই আমার আত্মার আত্মীয়। আমরাই আবারও গণতন্ত্র উদ্ধার করবো। সেদিন ঝড়-বৃষ্টি শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি। তিনি ঠিকই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা: মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছিলেন বলেই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার হয়েছিল। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলো, তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এগুলোর কোনো কিছুই হতো না যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না করতেন।

তিনি আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) এসেছিলেন বলেই এদেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হয়েছে। এদেশের কোন রোগী যেন বাহিরে না যায়, সে জন্য উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছেন। দেশে ১১৩টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে, এখন দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা করোনা মহামারিকে সফলতার সাথে মোকাবেলা করতে পেরেছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×