উদ্যানে বিএনপি, ঢাবির মিলন চত্বরে ‘সতর্ক’ ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন চত্বরে ‘সতর্ক’ অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। ছবি: সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩ | ১০:৫২ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ | ১০:৫২
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হওয়া শুরু করেছেন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান পূর্ণ হয়ে মৎস্য ভবন রাস্তায় নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে টিএসসি সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন চত্বরে ‘সতর্ক’ অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। তবে এটিকে নিয়মিত কর্মসূচিও বলছেন তারা।
শনিবার বিকেল তিনটা থেকে হাকিম চত্বর ও মিলন চত্বরে অবস্থান নিতে শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় মিছিলে স্লোগানে ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন।
বিকেল সোয়া চারটার দিকে দেখা যায়, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। সিরিয়াল মেনে বিভিন্ন হলের পদপ্রত্যাশী ও কর্মীরা তাদেরকে সালাম দিয়ে পরিচয় দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদেরও আশেপাশে অবস্থান করতে দেখা গিয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন কর্মী সমকালকে বলেন, বড় ভাইরা হল থেকে আমাদের নিয়ে এসেছেন। তারা বলেছেন এখানে কিছু সময় অবস্থান করে থাকতে হবে।
অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর হাসান সৈকত সমকালকে বলেন, আমাদের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করছি।’
বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে এ অবস্থান কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বিষয়ে যে কোনো দল কার্যক্রম চালাতে পারে, এটা তাদের (বিএনপি) স্বাভাবিক কার্যক্রম। তবে আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়, লন্ডনের প্রেসক্রিপশন রাজনীতি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের না চলে সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।
উল্লেখ্য, অন্যান্য সময়ে ছাত্রদল অথবা বিএনপির ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের আশেপাশে কর্মসূচি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে ছাত্রলীগের অবস্থান দেখা যেত। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিয়ে ছাত্রদল ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছে অতীতে। তবে এবার ক্যাম্পাসের পলাশী, নীলক্ষেত, শাহবাগ, হাইকোর্ট সংলগ্ন কার্জন হল, শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও কোনো অবস্থান দেখা যায়নি।
এদিকে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি মো. খোরশেদুল আলম সোহেল বলেছেন, ক্যাম্পাসে তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি নেই। দলের নির্দেশনা রয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কর্মসূচিতে থাকতে। অন্য কোনো ধরনের কর্মসূচি না রাখতে। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের কর্মসূচি থাকলে তারা ঘোষণা দিয়ে আসবেন।’