ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

‘কিংস পার্টি’ তৎপর, টার্গেট বিএনপির ক্ষুব্ধ বঞ্চিতরা

‘কিংস পার্টি’ তৎপর, টার্গেট বিএনপির ক্ষুব্ধ বঞ্চিতরা

লোটন একরাম

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৩:০৫ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০:৫৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ‘কিংস পার্টি’। বিএনপির সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত ‘তৃণমূল বিএনপি’ এবং ‘বিএনএম’ নামের দল দুটি বর্তমানে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনে অংশ নিতে ‘যোগ্য প্রার্থী’র খোঁজে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। এমনকি নির্বাচনে ৩০০ আসনেই দলীয় ও জোটগত প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে তারা। তাদের মূল টার্গেট বিএনপিদলীয় সাবেক মন্ত্রী-এমপি, অবমূল্যায়িত, সংক্ষুব্ধ, হতাশ, সাবেক সংস্কারপন্থি, বহিষ্কৃত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা। ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগও হয়েছে দাবি শীর্ষ নেতাদের।

প্রকাশ্যে নতুন দল দুটিকে গুরুত্ব না দিলেও ভেতরে-ভেতরে ‘সতর্ক’ অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির হাইকমান্ড। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে হঠাৎ যোগাযোগ করে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করতে না পারলে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। আর এই সুযোগে ‘খালি মাঠে’ দীর্ঘদিন ধরে দলে কোণঠাসা ও বঞ্চিত নেতাদের ‘এমপি হওয়া’র আশ্বাসও দিচ্ছেন কিংস পার্টির শীর্ষ নেতারা। এখন সৎ, যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের সন্ধানে নেমেছে দল দুটি। এমনকি এমপি প্রার্থী হওয়ার মতো বিএনপির ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেবেন বলেও দাবি করছেন তৃণমূল বিএনপির নেতারা।

অন্যদিকে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দলের কাউন্সিলে ‘চমক’ আছে বলে জানিয়েছেন বিএনএমের শীর্ষ নেতারা। এর মধ্যে ১৬০ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী তালিকাও তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বিএনএম। ইতোমধ্যে বিএনপির ওই সব নেতার সঙ্গে গোপন যোগাযোগ শুরু করলেও কৌশলগত কারণে নাম প্রকাশ করতে রাজি নন তারা। অবশ্য সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ন ম এহছানুল হক মিলন কারও নাম উল্লেখ না করে তাঁকে টোপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন।

২০০৭ সালে আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়। এসব দল সবার কাছে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়। বিএনপির সাবেক নেতা ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহমদের ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শেখ শওকত হোসেন নীলুর নেতৃত্বে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) তৎপরতা চালায়। তবে তা সফল হয়নি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অঞ্চলে কিংস পার্টির তৎপরতা শুরু হয় পাকিস্তানের শাসক আইয়ুব খানের সময়। তবে ইতিহাস বলে, কিংস পার্টির উদ্যোগ সবসময়ই ব্যর্থ হয়েছে।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেয়েছে তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম। আবেদনকারী ৯৪টি দলের অনেকে তাদের চেয়ে বেশি শর্তাবলি পূরণ করলেও নিবন্ধন পায়নি বলে অভিযোগ করেছে দলগুলো। ‘বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দল দুটিকে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন অনেকে। আবার দল দুটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির সাবেক নেতারা। ‘তৃণমূল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (তৃণমূল বিএনপি)’ চেয়ারপারসন হয়েছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং মহাসচিব হন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমূর আলম খন্দকার। অন্যদিকে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম)’ আহ্বায়ক হয়েছেন বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি ও বরিশাল জেলার নেতা অধ্যাপক ড. আবদুর রহমান এবং সদস্য সচিব হন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা প্রধান মেজর (অব.) মো. হানিফ। এ পরিস্থিতিতে দল দুটি নিবন্ধন পাওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা ডালপালা মেলে।

বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, ‘দ্বাদশ নির্বাচনকে টার্গেট করেই তারা নিবন্ধন পেয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে, হয় দল ভাঙতে, না হয় চাপে ফেলতে বিশেষ দলগুলো নিবন্ধন পেয়েছে।’ সর্বশেষ প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপিতে শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমূর আলম খন্দকার যোগ দেওয়ার পরই বিষয়টি আরও ‘স্পষ্ট’ হয়েছে। এমনকি দলটিতে আরও অনেক বিএনপির সাবেক ও বর্তমান নেতা যোগ দেওয়ার বিষয়ে গুঞ্জন চলছে। পাশাপাশি নিবন্ধিত বিএনএমও দল গোছাচ্ছে। তাদের দলেও বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ যোগ দিতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। অবশ্য বিএনপিতে অবহেলিত কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, নতুন দল দুটি যোগাযোগ করলেও তেমন কেউ যোগ দেবে বলে মনে হয় না।

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সমকালকে বলেছেন, তারা এখন দল গোচ্ছাছেন। তাদের দলে যোগদানের জন্য বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও শ্রেণি-পেশার অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যোগাযোগ করছেন। বিএনপির ৩০ থেকে ৪০ জন এমপি হওয়ার মতো যোগ্য নেতা তাদের দলে যোগদান করতে পারেন বলে দাবি করেন তিনি।

একই সঙ্গে তৈমূর আলম বলেন, তারা ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বে আগেই ৩০ দলের সমন্বয়ে একটি জোট ছিল, এখন সেই জোটটি আরও বড় করে জোরদার ও শক্তিশালী করবেন তারা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দল ‘কিংস পার্টি’ নয়। তারা নিজেদের শক্তিতেই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজনৈতিক দল।

অন্যদিকে, বিএনএমের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুর রহমান সমকালকে বলেছেন, আমরা ৩০০ আসনে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে জাতীয় কাউন্সিলে আমরা চমক দেখাব। কী সেই চমক তা না বললেও বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও মতের নেতৃবৃন্দ তাদের দলে যোগ দেবেন বলে দাবি করেছেন এ নেতা।

তিনি আরও বলেন, যোগ্য কোনো নেতা এলে যোগ্য জায়গা দেব। এখন আমরা দল গোছাচ্ছি। তবে তিনি বলছেন, তাদের কিংস পার্টি বলে গণমাধ্যম অন্যায় করছে। তারা গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত ও পরিবারতন্ত্রের বাইরে গিয়ে সৎ ও দেশপ্রেমিক যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে চান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির দলছুট নেতাদের নিয়ে নতুন দল গঠন করে আরেকটি নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না। বিএনপির কোনো ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মী ডুবন্ত নৌকাকে রক্ষা করতে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।

যাদের নাম আলোচনায়

বিএনপির সাবেক ও বর্তমান কোন কোন নেতা নতুন এই দুই দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জল্পনা-কল্পনা। অবশ্য ঘুরেফিরে কয়েকটি নামই আসছে অনেকের মুখে।

আলোচনার শীর্ষে থাকা পদধারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন– বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার প্রমুখ।

বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন– বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলের খুলনা মহানগরের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল ইসলাম সাক্কু প্রমুখ।

সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন– সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, আলী নেওয়াজ খৈয়াম, ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, নূরুল ইসলাম মনি, নজির হোসেন প্রমুখ।

অবশ্য আলোচিত নেতাদের বেশির ভাগই এ বিষয়ে এখনও প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। নাম প্রকাশ না করে বিএনপির পদধারী এক নেতা জানান, এমন আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছে দলই। এদের অনেকেই বিএনপি ছাড়বেন না; কিন্তু আলোচনায় নাম আসায় বিব্রত তারা।

যে কারণে আলোচনায়...

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। পাশাপাশি দলের একজন সিনিয়র নেতা হিসেবে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার আশা ছিল তাঁর। তবে কিছুদিন আগে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য দল থেকে তাঁকে শোকজও করা হয়েছিল। জবাবও দিয়েছেন তিনি। এর পর বিষয়টি নিয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি। দলও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়দায়িত্ব দেয়নি। অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনিও দলের কর্মসূচিগুলো এড়িয়ে চলছেন। সম্প্রতি বরিশাল বিভাগীয় রোডমার্চ কর্মসূচিতে যোগ দেননি তিনি। অবশ্য এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হননি।

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। অবশ্য ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই ‘সাইডলাইনে’ রয়েছেন এ নেতা। দলীয়ভাবে কোনো দায়দায়িত্ব পাচ্ছেন না দীর্ঘদিন ধরে। বিগত নির্বাচনে মনোনয়নও পাননি। সর্বশেষ তাঁকে দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদাবনতি দিয়ে শুধু নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।

এহছানুল হক মিলন গতকাল সমকালকে বলেছেন, বেশ কয়েকবার তাঁকে নতুন দলে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। পদাবনতি হওয়ার পর অনেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করেন দল ত্যাগের প্রশ্নই আসে না। বিএনপির সঙ্গেই আছি এবং আমৃত্যু থাকব।

খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার পরও পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া নজরুল ইসলাম মঞ্জু সমকালকে বলেন, ইতোমধ্যে আমি বিবৃতি দিয়েও বলেছি, বিএনপি অব্যাহতি দিলেও আমি বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে আছি এবং সঙ্গে থাকব। তিনি বলেন, শুনেছি দলের হাইকমান্ড দলের ভেতরে ও বাইরে থাকা সব নেতাকর্মীকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চূড়ান্ত আন্দোলনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে আমার সঙ্গে বিএনপি বা নতুন দলের কেউ যোগাযোগ করেনি।

দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল বিভাগে বিএনপির রাজনীতির কাণ্ডারি ছিলেন সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার। তাঁর ইশারায় সাংগঠনিক সব বিষয় চলত। সর্বশেষ কমিটি তাঁর মতের বাইরে করা হয়েছে। তাঁকে কেন্দ্রের যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। বর্তমানে বরিশালে তাঁর অনুসারীরা কোণঠাসা।

মূল্যায়নের আশ্বাস বিএনপি হাইকমান্ডের

সূত্র জানিয়েছে, নতুন দলের বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও সতর্ক হয়ে উঠেছেন বিএনপির হাইকমান্ড। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক সপ্তাহের মধ্যে দলের সংক্ষুব্ধ বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ করে তৃণমূল বিএনপিতে শমসের মবিন ও তৈমূর আলম খন্দকার যোগদানের পর থেকে নড়েচড়ে বসছেন বিএনপির হাইমান্ড। দলে কোণঠাসা হয়ে থাকা সংস্কারপন্থি, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ নানা কারণে বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি বিএনপির সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, আলী নেওয়াজ খৈয়াম, ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, নূরুল ইসলাম মনি প্রমুখের সঙ্গে কথা বলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কথা বলেছেন, বিএনপির এমন এক সাবেক সংসদ সদস্য সমকালকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপি হয়তো ভয় পেয়ে গেছে। কিন্তু বিএনপি থেকে অনেকবার এমপি হয়েছি। নতুন দলে যোগদানের আলোচনা থাকলেও সেখানে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

আরও পড়ুন

×