নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করে গণতান্ত্রিক কাঠামো শক্তিশালী করা যাবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

স্বৈরাচার সৃষ্টির পথ বন্ধ করতে হলে দেশে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো দাঁড় করানো যাবে না। এই বিভাগকে কাজ করতে দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে দলটি। 

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং আইনসভাকে তাদের নিজ নিজ কাজ করতে দিতে হবে। এতেই থাকবে ক্ষমতার ভারসাম্য। এটাকে আমরা আইনের ভাষায় বলি ‘সেপারেশন অব পাওয়ার থিউরি’। ক্ষমতার ভারসাম্য থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর অতিরিক্ত প্রভাব খাটাতে পারবে না।

সংস্কার আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবাই আশাবাদী। তবে সংস্কারের আলোচনার চেয়ে বেশি হয়তো খানাপিনা চলছে, সময় অনেক লাগছে। বিশ্বাস করি, আমরা ঐকমত্যে আসতে পারব। আমরা বলেছি, ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে থাকতে পারবেন না। এতেই ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি বন্ধ করা যাবে। আমরা ৭০ অনুচ্ছেদের মধ্যে সংস্কার আনছি। এখন আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের এমপিরা গোপন ব্যালটে স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। সেটা আরেকটা বিপ্লব হবে। বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান বলেন, সবাইকে চোখকান খোলা রাখতে হবে। খরগোসের মতো কানগুলো যাতে সব সময় সতর্ক থাকে। চোখ খোলা রাখলে দেখা যাবে সত্যি সত্যি কী হচ্ছে।

এ ছাড়া আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ভাসানী জনশক্তি পার্টির শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণফোরামের মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।