ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারে আবাসিক কর্মশালা

আদিবাসী তরুণদের জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ

আদিবাসী তরুণদের জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫ | ২১:২৭

আদিবাসী তরুণদের জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিন দিনব্যাপী আবাসিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার থেকে মঙ্গলবার কক্সবাজারের রামাদা হোটেলে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। ইউনেস্কো ঢাকা অফিস ও এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিয়ন (ক্রিহ্যাপ) এ কর্মশালার আয়োজন করে। সহায়তায় ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংগঠন ‘জাবারাং কল্যাণ সমিতি’। এতে চাকমা, ত্রিপুরা ও রাখাইন সম্প্রদায়ের ২০ জন তরুণ-তরুণী অংশ নেন। 

কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রধান সুসান ভাইজ বলেন, তরুণরা শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানের পরিবর্তনেরও অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। এই কর্মশালাটি আদিবাসী তরুণদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যেখানে তারা কমিউনিটিভিত্তিক ইনভেন্টরি পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সম্পর্কে গভীরভাবে জানার সুযোগ পাবে।

কর্মশালাটি পরিচালনায় ছিলেন ইউনেস্কো স্বীকৃত আইসিএইচ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ শুভা চৌধুরী এবং   লেখক ও গবেষক রিফাত মুনিম। অংশগ্রহণকারীরা এই সময়কালজুড়ে তাত্ত্বিক আলোচনা, দলীয় কার্যক্রম এবং মাঠ পর্যায়ে বাস্তব চর্চার সমন্বয়ে একটি নিবিড়ভাবে শেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। 

ভার্চুয়াল বক্তব্যে ক্রিহ্যাপ প্রতিনিধি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের তরুণরা জীবন্ত ঐতিহ্য বোঝার এবং এর ইনভেন্টরি তৈরির সঠিক পদ্ধতি শিখবে। এর মাধ্যমে তারা তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যিক উপাদানগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং যোগাযোগ ও নথিভুক্তকরণ দক্ষতা আরও উন্নত করতে পারবে। ঐতিহ্যিক

কর্মশালার সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ লাম্প্রা ত্রিপুরা এই কর্মশালায় শিখেছি কীভাবে আমাদের সংস্কৃতির মূল্যবান অংশগুলো সংরক্ষণ করতে হয়। পদ্ধতিগুলো শিখে খুবই আনন্দিত।

রাখাইন তরুণ ম্রাঙয়েউ বলেন, ঐতিহ্যকে কেবল উৎসব বা শিল্প নয়, বরং অস্তিত্ব রক্ষার অংশ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পেয়েছি এই কর্মশালায়।

চাকমা তরুণী হেমা চাকমা বলেন, গান-নাচ ছাড়াও লোকশিল্প, কারুশিল্প, এমনকি সামাজিক প্রথাগুলোকেও যে চর্চা ও সংরক্ষণের প্রয়োজন আছে—সেটা এবার পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি।

আরও পড়ুন

×