ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

নির্বাচনী কার্যক্রম দানা বাঁধছে না, পথ স্পষ্ট নয়

নির্বাচনী কার্যক্রম দানা বাঁধছে না, পথ স্পষ্ট নয়

কোলাজ

মসিউর রহমান খান

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫ | ০২:০১ | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ | ১০:৩৭

নির্বাচনী প্রস্তুতির অপরিহার্য বিষয় একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ। এ দুই বিষয়ের কোনোটিতেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ইতোমধ্যে সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন করা হয়েছে। তবে ভোটার তালিকা আইন ও বিধি পরিবর্তনের কাজ এখনও বাকি।

এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনসহ অনেক প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন আয়োজনে ইসির দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথটি এখনও স্পষ্ট নয়।

ইসি-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের জন্য ইসির প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে ইসির কাছে এখনও কোনো স্পষ্ট বার্তা নেই। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বৈঠকেও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ওই বৈঠকের পর সিইসি জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল– দুই সময় ধরেই ইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে জানিয়েছেন, তাদের প্রস্তাবিত সংস্কারে সীমানা নির্ধারণের সঙ্গে সাংবিধানিক বিষয় জড়িত ছিল। অন্য প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে ইসি সরকারের সঙ্গে আলাপ করে কাজ এগিয়ে নিতে পারে। সীমানা নির্ধারণ বিষয়েও গত বুধবার ঐকমত্য কমিশন এবারের জন্য একটি সমাধান দিয়েছে। তাই ইসির নির্বাচনী প্রস্তুতির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য আর অপেক্ষার দরকার নেই।

নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব ইসির। নির্বাচনের দিনক্ষণ তারাই ঠিক করে। সংসদ ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ৯০ দিনের সময়সীমা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। 

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দ্বাদশ সংসদের এমপি, মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের এক মাসের মাথায় ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। দুই মাসেরও বেশি সময় পর ২১ নভেম্বর সাবেক আমলা এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিশন দায়িত্ব নেয়। এর পর থেকেই রাজনীতিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়। 
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিগুলোর মধ্যে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরকালে গত ১৩ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

খসড়া রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না
চলতি বছরের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে ইসি খসড়া কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রস্তুত করে। কিন্তু নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলমান থাকায় এখনও রোডম্যাপ চূড়ান্ত হয়নি। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও প্রস্তুতিমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইসি। তারা আশা করেছিল, জুনের মধ্যে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়া একটি রূপ পাবে এবং জুলাই সনদ চূড়ান্ত হলেই জোরেশোরে ভোটের কাজ শুরু হবে। তখন সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, খসড়া রোডম্যাপে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেওয়ার মতো কাজগুলো কোন সময়ের মধ্যে করা হবে, তার উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়টিও রাখা হয়েছিল।

নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছেন, শুরুতে ডিসেম্বর ধরেই ইসি প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু এখন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল– যে কোনো সময় নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে তাদের প্রস্তুতি চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রচলিত রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে ইসির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে।

নতুন করে শুরু হচ্ছে সীমানা নির্ধারণ কাজ 
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। আইন অনুযায়ী কোনো জনশুমারির পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং ইসি চাইলে যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে পারে।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা জরুরি বলে মনে করছে তারা। কারণ, ইতোমধ্যে একটি জনশুমারি হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু আসন নিয়ে জটিলতা আছে। সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য একটু লম্বা সময় প্রয়োজন হয়। ইতোমধ্যে সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

ইসি-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ৭৫টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের জন্য ৬০৭টি আবেদন জমা পড়েছে। ৩০০ আসনের বর্তমান সীমানায় নির্বাচনে আগ্রহী নয় বিএনপি। কারণ এক-এগারোর সেনা-সমর্থিত সরকারের আমলে ড. শামসুল হুদা কমিশন সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় পরিবর্তন আনে। ওই সীমানায় ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পায়। তখন থেকেই বিএনপি সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। পরবর্তী তিন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানায় ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়েছিল।

বিএনপির দাবি, ২০০১ সালের আগের সীমানায় অর্থাৎ অষ্টম সংসদ নির্বাচনের সীমানায় ফিরে যেতে হবে। 
বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, ২০০১ সালের আগের সীমানায় ফিরে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ এরপর বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক ইউনিট (নতুন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ) হয়েছে। নদীভাঙনসহ নানা কারণে ভূপ্রকৃতিগত পরিবর্তন এসেছে। জনবসতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। মফস্বলের অনেক আসনের বাসিন্দা কর্মসংস্থানের খোঁজে শহর এলাকার আসনগুলোতে বসতি স্থানান্তর করেছেন।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলছে। প্রায় ৩৫টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন এনে একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। এরই মধ্যে বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি ‘বিশেষায়িত কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে ইসির পক্ষ থেকে যেটুকু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল তা নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। 

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছিল, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে গঠন করা হবে স্বতন্ত্র কমিশন। এতে আপত্তি ছিল বিএনপির। তবে দলটি সাংবিধানিক কমিটি গঠনে রাজি হয়েছে। একমত হয়েছে জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলগুলোও। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে ইসির সহায়তায় যথাযথ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষায়িত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি গঠন হয়ে থাকলে তাতে পরিবর্তন আনা হবে।

ভোটার তালিকার জন্য সময়ের অপেক্ষায় ইসি
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে থাকে ইসি। যদিও বছরের যে কোনো সময় সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে। একজন নাগরিকের বয়স ১৮ হলেই জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নিয়ে ইসি তাকে ভোটার করতে পারে। বছরের শুরুতে প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় এসব নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  

ইসি-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন ধরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া নতুন ভোটারদের আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চায় ইসি। এই প্রস্তাবে সরকারেরও সায় রয়েছে। এ লক্ষ্যে ভোটার তালিকা আইন এবং ভোটার তালিকা বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

এই সংশোধনী হলে আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে অর্থাৎ চলতি বছরের যে কোনো সময় খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারবে। এর ফলে ইতোমধ্যে ইসির তালিকায় যুক্ত হওয়া ৪৩ লাখ ২৭ হাজারের বেশি নতুন ভোটার আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। 
ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সময়সীমা নির্ধারণে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সে অনুযায়ী আইন সংশোধন প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এবারের হালনাগাদে গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৬ জন নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে, যা বিদ্যমান ভোটারের প্রায় ৫ শতাংশ। তাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে এবং তারা সবাই ১৮ বছরের বেশি বয়সী। অর্থাৎ ভোটার হওয়ার যোগ্য। বাকিদের বয়স আগামী বছরের ১ জানুয়ারি ১৮ বছর পূর্ণ হবে। তালিকায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন। ইসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ভোটার রয়েছেন। 

জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা 
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাষ্ট্রকাঠামোতে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত সংস্কার নিয়ে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সংলাপ চলমান। এ সংলাপের মাধ্যমে জুলাই সনদে সই করবে সব দল। এর ভিত্তিতেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

তবে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মতপার্থক্য ইতোমধ্যে সংলাপের টেবিল থেকে রাজপথে চলে আসছে। নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে সাংবিধানিক পদগুলোর নিয়োগে পৃথক কমিটি গঠন নিয়েই মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। 

যদিও গত রাতে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ সমকালকে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রয়েছে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। জুলাই মাসের মধ্যেই সনদ হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী। সংলাপে অংশ নেওয়া সব দলই সংস্কারের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছে এবং সবাই কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

আরও পড়ুন

×