ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তো: আমু

বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তো: আমু

আমির হোসেন আমু- ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:১২

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব স্থিতিশীলতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে এই স্বাধীনতা ও  সার্বভৈৗমত্ব হুমকির মুখে পড়তো।

সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে না ফিরলে স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকা অস্ত্র সমর্পণ ও মিত্রবাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফেরত পাঠানো অসম্ভব হয়ে পড়তো। তার ফিরে আসার কারণেই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি আদায় দ্রুত সম্ভব হয়েছে।

আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার মহাসড়কে। ঠিক তখন আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে  মেতেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।

সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল অপূর্ণ। তার ফিরে আসার মধ্যদিয়ে বাঙালির আশা-আকাঙ্খা পরিপূর্ণতা পায়। সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক এবং উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও  সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অতীব জরুরি ছিল।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের শক্তিশালী রাষ্ট্রের বুনিয়াদ তৈরি করে গেছেন  বঙ্গবন্ধু। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটতো না।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। 

আরও পড়ুন

×