ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

পাপুলের কারাদণ্ড সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: রিজভী

পাপুলের কারাদণ্ড সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী- ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ | ০৬:৪৫

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‌‘কুয়েতের আদালতে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কারাদণ্ডের ঘটনা বর্তমান সরকারের দুর্নীতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এর আগে একবার পেয়েছিলো পদ্মাসেতু নিয়ে। আর এবার পেলো জাতীয় সংসদের সদস্য দিয়ে। এতে সরকারের টনক না লড়লেও এটি দেশের জন্য লজ্জার। বর্তমান বিনা ভোটের সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।’

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া পাপুলের মতো এমপিরা বেপরোয়া দুর্নীতি করার সাহস পেতো না। তার কোনো পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডও নেই। প্রচুর টাকার কারণে তাকে এমপি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রীকেও এমপি করা হয়েছে। এভাবে রাজনীতিকে একটা নষ্ট জায়গায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তারা রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়নের চরম পর্যায় নিয়ে গেছে।’

রিজভী বলেন, ‘পাপুলের স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকার বিরুদ্ধেও শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ হওয়ার পর দুদক ও সরকারের ভূমিকা জাতির কাছে পরিস্কার হয়েছে। মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগে যেখানে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের জামিন দেয়া হয় না, নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সেখানে সরকারের নির্দেশে নিম্ন আদালতেই তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।’

দেশে এখন দুর্নীতি মহামারি চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘টিআইবির রিপোর্টে দুর্নীতির ধারণা সূচকে আগের তুলনায় আরও দুই ধাপ নিচে নেমে গেছে বাংলাদেশ। ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকার নিচ থেকে বাংলাদেশ ১২তম অবস্থানে আছে। এর পেছনে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টাকে অন্যতম কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যেটা আমরা এর আগেও বলেছি বার বার। গণতন্ত্রহীনতার কারণেই বর্তমানে দেশে দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে।’

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। বন্দর নগরীর ৭৮ শতাংশের বেশি ভোটার নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। এই প্রত্যাখান ভোট সন্ত্রাসী ক্ষমতাসীনদের বলদর্পী শাসন-শোষণ ও নতজানু-মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। ভোট ডাকাতির পাতানো এই নির্বাচনের চিত্র জনগণের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে।’

এ সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সাহিদা রফিক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

×