জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
বিচার বিভাগীয় তদন্তে দায়ীদের শাস্তি চায় বাম জোট

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১ | ০৯:২৯
নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটন ও দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। নেতারা বলেছেন, সরকারিভাবে তিন-চারটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তার প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই।
বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে জোটের এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব কথা বলেন। বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সেজান জুস কারখানা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ। এতে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ কাফি রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, ইউসিএলবির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আলী, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
নেতারা আরও বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ভবন ধস ও বিস্ম্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর মালিক সরকার এবং সরকারি দল সংশ্লিষ্ট হওয়ায় কোনোটিরই বিচার বা শাস্তি হয়নি। সেজান জুসের মালিকও আওয়ামী লীগের টিকিটে লক্ষ্মীপুর থেকে সংসদ নির্বাচন করেছিলেন। সরকারের তদারককারী সংস্থার অবহেলা, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে আইন না মেনে কারখানা চালু রাখার দুঃসাহস দেখাতে পারেন মালিকরা। ফলে আজ পর্যন্ত কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার ও শাস্তি না হওয়ায় একের পর এক শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলছে। এর অবসান হওয়া দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী মালিক ও কারখানা পরিদর্শকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের শাস্তি, নিহত শ্রমিকদের পরিবারপ্রতি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের উন্নত চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, নিখোঁজ শ্রমিকদের খুঁজে বের করা এবং নিহত-আহত-নিখোঁজ শ্রমিকদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়। ঈদের আগেই সব শ্রমিকের বকেয়া বেতন- বোনাস ও ওভারটাইম পরিশোধ করার দাবি জানান নেতারা।
এ সময় উল্লিখিত দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখা, ঈদের আগেই কারখানা গেটে শ্রমিক জনসভা এবং ঈদের পর শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেওয়া হয়।