টিফিনের টাকায় মানবিক কাজ

চলছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ঐক্য-বন্ধন’র গাছ বিতরণ কার্যক্রম...
রুবেল মিয়া নাহিদ
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১:১৯
আশিকুজ্জামান। ২০২৩ সালে যুক্ত হন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ঐক্য-বন্ধন’র সঙ্গে। সংগঠনটি কার্যক্রম পরিচালনা করে যশোরের বিভিন্ন এলাকায়। বর্তমানে ঐক্য-বন্ধন অসহায় মানুষের আত্মকর্মসংস্থান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচি, গরিব ও
অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো, ঈদে অসহায় পরিবারের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ, বাল্যবিয়ে, মাদক, দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণামূলক, নারীদের সচেতন করতে উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সংগঠনের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছে। তাদের কার্যক্রম নিজ গ্রামের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে আশপাশের একাধিক উপজেলায়।
ঐক্য-বন্ধনের চলমান কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে খাতা-কলম ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ দেওয়াসহ পরীক্ষার মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা এবং শিক্ষার্থীদের উন্নতি-অবনতি নিয়ে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা। সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে আশিকুজ্জামান বলেন, ‘অধিকারবঞ্চিত শিশুদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
এ ছাড়া বর্তমানে সংগঠনের সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রিয়েটিভ স্কুল চালু করেছি, যেখানে বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ের কোনো পড়া আমরা পড়াই না। আমরা গ্রামে কেন্দ্রের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ছোট শিশুদের নিয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সংগীতচর্চা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন আবিষ্কার নিয়ে চর্চা, হাতের লেখা শিক্ষা, ধর্মীয় জ্ঞান দেওয়াসহ মানবিক ও সামাজিক কাজে অনুপ্রাণিত করি।
একজন ক্রিয়েটিভ, স্মার্ট, দক্ষ সামাজিক ও মানবিক মানুষ তৈরি করতে সব ধরনের কর্মকাণ্ড আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। চেষ্টা করি এ ছোট বয়সে আমরা যেগুলো জানতে পারিনি তাদের সেগুলো জানানোর। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা হয়। তাদের যতটা সম্ভব দিকনির্দেশনা দিয়ে অনুপ্রাণিত করি। আমাদের সংগঠন স্বেচ্ছাসেবীরা পরিচালনা করে। নেই আলাদা কোনো ফান্ড। মূলত শিক্ষার্থীরা টিফিনের টাকা থেকে কিছু কিছু জমিয়ে এ সংগঠনের ফান্ডে জমা রাখে। তাই দিয়ে চলে আমাদের কার্যক্রম।’
- বিষয় :
- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন