সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ইচ্ছা প্রকাশ করতে নেই

প্রতীকী ছবি
ফাহমিদা রিমা
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২২:৫৬
যখন সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করেন, মানে আড্ডা দেন তখন অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না ঠিক কখন কী ধরনের রিপ্লাই বা জবাব দেওয়া উচিত এবং কী নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। এ রকম পরিস্থিতিতে যারা অহরহ পড়েন কিংবা ভবিষ্যতে পড়ার আশঙ্কা আছে, যেগুলো অনলাইনে কখনোই শেয়ার করা ঠিক নয়, সে রকম পাঁচটি বিষয়ের মুখোমুখি হই–
অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের ছবি
বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে সবাই কমবেশি মজা করেন। আর মজা করতে গিয়ে বেসামাল অবস্থায় কালেভদ্রে পড়েন কেউ কেউ। সেই সব অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের ছবি আবার মজা করে কেউ তুলে রাখেন। এ ধরনের ছবি কিংবা পার্টিতে ধূমপানসহ অন্য কোনো বাজে জিনিস গ্রহণের ছবি অনলাইনে পোস্ট করা উচিত নয়। যদিও এ ধরনের ছবি হরহামেশাই দিয়ে থাকে কেউ কেউ।
কারণ: আপনার ছবিতে যতই প্রাইভেসি দেওয়া থাকুক না কেন, কোনো না কোনো সময় দেখবেন, আপলোড করা ছবি অন্যরা ঠিকই পেয়ে গেছে ও ব্যবহার করছে। কারণ, এসব সামাজিক যোগাযোগ সাইটের ‘প্রাইভেসি’র অর্থটি হয়তো আপনার অভিধানের সঙ্গে মিলবে না! আজকাল অনেক অফিসে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রার্থী বা শিক্ষার্থী নিয়োগের আগে তাদের অনলাইন প্রোফাইল চেক করে নেওয়া হয়। একটি ছবি হয়তো আপনার নেতিবাচক ‘গুণ’টিকে দেখিয়ে দিয়ে কেড়ে নিতে পারে সুন্দর ভবিষ্যৎ!
অভিভাবকের দেয়াল
এমন কিছু ছবি নিশ্চয়ই আপনার সংগ্রহে আছে, যেগুলো আপনার অভিভাবকের নজরে পড়ুক সেটি আপনি কখনোই চান না। আর তা যদি পড়ে, তাহলে হয়তো পরিণামটা শুভকর হবে না! সেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ সাইটের প্রোফাইলে বা অ্যালবামে আপলোড করা উচিত নয়।
কারণ: এ ধরনের ছবি অন্য মানুষকে পার্টির ছবির চেয়েও বেশি আকৃষ্ট করে এবং এগুলো হাতে হাতে ছড়িয়ে যায় খুব দ্রুত। আপনি হয়তো আপনার প্রিয় মানুষটির জন্যই ছবিটি আপলোড করেছেন আর ট্যাগও করেছেন শুধু তাকেই। তবে আপনি নিজেও জানবেন এই ছবি শেষ পর্যন্ত কারও চোখে পড়ে যাবে। আর যদি আপনার এক্স-বয়ফ্রেন্ড বা এক্স-গার্লফ্রেন্ডের হাতে পড়ে, তাহলে কী হতে পারে– বুঝতেই পারছেন!
গোপনীয়তায় নম্বর ও ঠিকানা
বেশ কিছু সাইটে ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ও ঠিকানা দেওয়ার অপশন থাকে। কখনোই এই দুটি জিনিস অপরিচিতদের জানতে দেবেন না।
কারণ: অনলাইনে একান্ত আপন বন্ধুদের সঙ্গে নিজের ফোন নম্বর ও ঠিকানা আদান-প্রদান করা যায় সহজেই। তবে বন্ধুদের সঙ্গে অবন্ধুরাও সহজে জেনে যাচ্ছে আপনার এমন একান্ত তথ্যগুলো। তারা জেনে গেলে নিশ্চয়ই নানা রকম ঝামেলায় পড়তে পারেন– সে কথা বলাইবাহুল্য।
অভিযোগ: সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোকে মাঝেমধ্যে
মনে হয় শিক্ষক কিংবা বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার স্বর্গরাজ্য। কারণ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তো আর জানছেন না!
কারণ: মনে রাখবেন, আপনি যা কিছু লিখছেন, যাকে নিয়ে লিখছেন তার কাছে চলে যেতে পারেন যে কোনো সময়, যে কোনোভাবে। ফলে এটি আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানে বেশ ঝামেলায় ফেলতে পারে।
কিছু কথা একান্ত ব্যক্তিগত: আপনার ব্যক্তিজীবনের সব নাটকীয়তা হয়তো সবাই জেনে যাবে কেবল একটি ‘স্ট্যাটাস’-এর মাধ্যমে। তবে কিছু কথা কি একান্তই আপনার ব্যক্তিগত নয়?
কারণ: পাবলিক প্লেসে পার্সোনাল কথা বলাটা চূড়ান্ত বোকামি। এর ফলে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে নাটকের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে এবং ধরে রাখুন সেই নাটক হবে ট্র্যাজেডিতে পরিপূর্ণ! u
- বিষয় :
- সামাজিক মাধ্যম