গিনাব্রি জাদুতে সাত গোল খেল স্পার্সরা

ছবি: দি গার্ডিয়ান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২৩
'নামটা লিখে রাখো'। চার গোল করে উদযাপনের ভঙ্গিতে সের্গে গিনাব্রি সেটাই বলতে চেয়েছেন। ম্যাচ শেষে মুখে বলেছেন, 'উত্তর লন্ডন এখন লাল।' টটেনহ্যামের জার্সির রঙ সাদা। কিন্তু লাল জার্সির বায়ার্ন সাত গোল দিয়ে টটেনহ্যামকে 'রক্তাক্ত' করে দিয়েছে। গিনাব্রির ম্যাচ শেষে তাই রসিকতা। জার্মানির ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার আর্সেনাল একাডেমিতে বেড়ে উঠেছেন। স্পার্সদের তাই শত্রু হিসেবেই চিনেছেন ছোট থেকে। বায়ার্নের জার্সিতে তার প্রতিফলন ঘটালেন তিনি।
প্রথমার্ধে দু'দল প্রায় সমান তালে লড়েছেন। ঘরের মাঠে টটেনহ্যাম আক্রমণ করেছে বেশি। তবে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার বায়ার্ন মিউনিখ এগিয়ে যায়। গিনাব্রি ম্যাচের ৫৩ ও ৫৫ মিনিটে জাদু দেখান। তার গোলে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে স্পার্সদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় জার্মান ক্লাবটি। কিন্তু ৬১ মিনিটে হ্যারি কেন গোল করে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেন। যদিও তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বরং অপদস্থ হয়েছে বায়ার্নের কাছে।

ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গ্রিনাব্রি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। এরপর ৮৭ মিনিটে লেভানডভস্কি তার দ্বিতীয় গোল করেন। এক মিনিট পরেই আবার গিনাব্রি শো'। শেষের তিন মিনিটে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠ ছাড়ে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলা টটেনহ্যাম। ম্যাচ শেষ হয় ৭-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে। গিনাব্রি দ্বিতীয় জার্মান ফুটবলার হিসেবে ইউরোপ সেরার আসরে চার গোল করার কীর্তি গড়লেন। এর আগে মারিও গোমেজ বাসেলের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েন। নাম লিখে রাখার ইঙ্গিত সেজন্যই দিয়েছেন গিনাব্রি।
টটেনহ্যাম চ্যাম্পিয়নস লিগের আসরে সাত গোল হজম করেছে আর রেকর্ড হবে না তা কি হয়! ঘরের মাঠে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই প্রথম সাত গোল হজম করল ইংলিশ ক্লাবটি। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় কোন ইংলিশ ক্লাব এর আগে ঘরের মাঠে এতো বড় ব্যবধানে হারেনি। এর আগে ১৯৯৬ সালে লিগে ৭-১ গোলে নিউক্যাসলের বিপক্ষে হারে তারা। চলতি মৌসুমে লেভানডভস্কি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করেছেন। শীর্ষ পাঁচ লিগের আর কেউ এতো গোল করতে পারেননি এখনও।