হতাশ গাঙ্গুলি, রাজনীতির কারণেই দায়িত্ব হারাচ্ছেন?

ছবি: ফাইল
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২২ | ০৬:১০ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২ | ০৬:১৯
ভারতীয় ক্রিকেটে এখন বড় চর্চার নাম ‘সৌরভ গাঙ্গুলি ব্যাক টু কলকাতা’ নাকি ‘ব্যাক টু দিল্লি’। কলকাতা ফেরা মানে ‘দাদাগিরি’, গুগলি রাউন্ড পরিচালনা করা। দিল্লি যাওয়া মানে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির ডিরেক্টর হওয়া।
সৌরভ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম বড় ব্র্যান্ড। মহারাজ খ্যাত এই ক্রিকেটারকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে রাখা হচ্ছে না। আলোচনা তো হবেই।
সৌরভের জায়গায় বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলের পেসার রজার বিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব চালাতে নাকি আগ্রহী ছিলেন সৌরভ। কিন্তু তাকে রাখা হচ্ছে না বলেই খবর। বিষয়টি নিয়ে একজন বোর্ড সদস্য সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘তাকে চোখে মুখে হতাশা এবং পরিষ্কার মনমরা ভাব দেখা গেছে।’
আনন্দবাজার পত্রিকায় সূত্রের বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে, সৌরভকে আইপিএলের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রখর আত্ম সম্মানবোধ সম্পন্ন সাবেক অধিনায়কের ওই প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার কথা নয়। বিষয়টি অনেকটা জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব কেড়ে ‘এ’ দলের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সৌরভ পরবর্তী আইসিসির চেয়ারম্যান হতে পারেন। টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন যার নির্বাচন। কিন্তু নিশ্চয়তা তো কেউ দিচ্ছেন না। বরং আনন্দবাজারকে একজন বোর্ড কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সৌরভকে সম্মান দিয়ে বোর্ড থেকে সরার সুযোগও দেওয়া হলো না। সরে যাচ্ছি, কথাটা বলার সুযোগ পেলেন না।’
ভারতীয় বোর্ডের শীর্ষ পদ থেকে সরে যেতে হচ্ছে মাত্র দু’জনকে। একজন ব্রিজেশ প্যাটেল। তার বয়স ৭০ হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডে থাকতে পারবেন না। অন্যজন গাঙ্গুলি। অথচ বিজেপির নেতা ও মন্ত্রীপুত্র জয় শাহ সেক্রেটারি পদে থাকছেন। অরুণ ধুমলাকে আইপিএল চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। রাজিব শুক্লা বোর্ডে থেকে যাচ্ছেন। দোষ শুধু সৌরভের? যদিও বলা হচ্ছে, পূর্বে কারো টানা দু’বার বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার নজির নেই। তবে টানা দু’বার দায়িত্ব নিতে মানাও নেই।
আনন্দবাজারের মতে, রাজনীতির শিকার হয়ে থাকতে পারেন সৌরভ। কারণ কলকাতায় বিজেপি এবং তৃণমূল দ্বন্দ্ব চরমে। ধারণা করা হয়, সৌরভকে ক্ষমতাসীন বিজেপি বোর্ডে এনেছিল রাজনীতির অংশ হিসেবে। তাকে বা তার পরিবারের কাউকে বিজেপিতে টানার বুদ্ধি ফেঁদে। কিন্তু ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়’ ঘোষণা দেওয়ায় সৌরভ ওপর থেকে মন উঠে গেছে বিজেপির। ‘সরকারের ইচ্ছে ছাড়া বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া যায় না’ ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে এটা তো ওপেন সিক্রেট।