ফিট রাখতেই লিটনকে বিশ্রাম

লিটন দাস
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ব্রিসবেন
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২ | ২১:০২
নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে নেট করার সময় ঊরুতে বল লেগেছিল লিটনের। এরপর পেশির ব্যথা নিয়েই খেলেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেনেন্টের শেষ ম্যাচ। তিন নম্বরে নেমে ৪২ বলে ৬৯ রান করেছেন জড়তাহীনভাবে। লিটনের টিআর বা পেশিতে টান না থাকলেও গতকাল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেননি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। টপঅর্ডার এ ব্যাটারকে চোটমুক্ত রাখতেই টিম ম্যানেজমেন্টের এ সিদ্ধান্ত। অবশ্য ম্যাচ না খেললেও অনুশীলনে বিরতি দেননি লিটন। রোববার জিম সেশন করেছিলেন। গতকাল নেট সেশনে ছিলেন ৩৫ মিনিট। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান চোটমুক্ত থাকায় লিটনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম করতে সমস্যা হচ্ছে না।
বিশ্বকাপের লম্বা সময়ে ফিট লিটনকে চায় দল। এ কারণে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য চাপ দেওয়া হয়নি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান, লিটনের ঊরুর ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে। কাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে পারেন তিনি। বিশ্বকাপ দলের মিডিয়া ও লজিস্টিক ম্যানেজার রাবীদ ইমাম জানান, লিটনের কোনো চোট নেই। নেট সেশনেও সাবলীল ছিলেন ডানহাতি এ ওপেনার।
জিম্বাবুয়ে সফরে টি২০ সিরিজে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ায় এশিয়া কাপ খেলা হয়নি লিটনের। আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের সবগুলো ম্যাচেই খেলার সুযোগ পান নিরবচ্ছিন্নভাবে। কখনও ওপেন, কখনও তিন নম্বরে ব্যাট করে ইমপ্যাক্ট ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
এ মুহূর্তে জাতীয় দলের সেরা ব্যাটার লিটন। তিন সংস্করণেই ধারাবাহিক রান করছেন। ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৫ ও ৬৯ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ১৫ ও ২৩ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরে নেন তিনি। এশিয়া কাপ চলাকালে সমকালকে একান্ত সাক্ষাৎকারে লিটন জানিয়েছিলন, বিশ্বকাপের জন্য বিশ্বকাপ ভেন্যুতেই অনুশীলন করতে চান তিনি। সে সুযোগ ভালোই পাচ্ছেন টপঅর্ডার ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভারের উইকেটের সঙ্গে ব্রিসবেনের উইকেটের যথেষ্ট মিল। অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডের গতি এবং বাউন্স দুটোই রয়েছে। নেটে ব্যাটিং করেও নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করা যায়। নীরবে নিভৃতে সেটাই করে যাচ্ছেন তিনি।
লিটনের অনুপস্থিতিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ ইনিংস ওপেন করেন। সৌম্য সরকার নামেন তিন নম্বরে। যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন টপঅর্ডারই রান পাননি। শান্ত ৯ বলে ১২ করলেও মিরাজ ৩১ বলে করেন ১৬ রান। সৌম্য আউট ১ রানে। এতে করেই বোঝা যায় লিটনকে ছাড়া টপঅর্ডার অকার্যকর। টিম ম্যানেজমেন্টও তাই গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যাটারের যত্ন নিচ্ছেন আলাদা করে।
লিটনের মতো টুকটাক ব্যথা ছাড়া বাংলাদেশ দলে কোনো চোট সমস্যা নেই। ক্রিকেটারদের চোটমুক্ত রাখতে কোচিং স্টাফের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। ওয়ার্ক লোড ম্যানেজ করে পেসারদের খেলাচ্ছেন তারা। অনুশীলনের বোলিং সেশন সেট করে দিচ্ছেন টি২০ স্কেলের সমান্তরালে। কম অনুশীলন করেও বোলিং ভালো করছেন পেসাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গা গরমের ম্যাচে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান বোলিং ভালো করেছেন। যেটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে টিম ম্যানেজমেন্ট।