ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কমলায় কুপোকাত দক্ষিণ আফ্রিকা

কমলায় কুপোকাত  দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার একের পর একজনকে ফিরিয়ে এভাবেই উল্লাসে মাতেন ডাচরা - এএফপি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১০:৪৭

ডেভিড মিলারকে বোল্ড করেই ভোঁ-দৌড় দেন লোগান ফন বিক। তাঁর পেছন পেছন ছুটছেন এডওয়ার্ডস, মারউইরা। নাগাল পেতেই সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়েন ডানহাতি এ পেসারের ওপর। নেদারল্যান্ডসের জয়ের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই মিলার। তিনি আউট হতেই জয়োল্লাস শুরু করে দেয় ডাচরা। এর পর কেশব মহারাজ কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন। বৃষ্টিতে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে স্কট এডওয়াডর্সের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করে নেদারল্যান্ডস। জবাবে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ৩৮ রানের জয়ে এবারের বিশ্বকাপে আফগানদের পর আরও একটি অঘটনের জন্ম দিল ডাচরা।


ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত এক গল্প লিখে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের দেখা পেল ডাচরা। বৃষ্টিভেজা ধর্মশালায় টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৭ ওভারে ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। সেখান থেকে শেষ ১৬ ওভারে ১৩৩ রান যোগ করে। এর পরও আইসিসির সহযোগী এ দেশটির জয়ের কথা কে ভেবেছিল! দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত ব্যাটিংলাইনের কাছে এ রান তো মামুলি ব্যাপার। কিন্তু কুইন্টন ডি কক আউট হতেই ম্যাচ ঘুরতে থাকে। ৩৬ রানে প্রথম উইকেট পতন, পরবর্তী ৮ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট নেই প্রোটিয়াদের। এর পর ক্লাসেন ও মিলার হাল ধরেছিলেন। কিন্তু ফাইন লেগ সীমানায় ক্লাসেন আউট হতেই আবার শুরু হয় ধস। তখন দাঁড়িয়ে ছিলেন কেবল মিলার। সপ্তম উইকেট হিসেবে তিনি আউট হতেই উৎসব শুরু করে দেয় কমলা জার্সিধারীরা। এই বিশ্বকাপে এটা ডাচদের প্রথম জয়। শুধু তাই নয়, ওয়ানডেতে আটবারের মুখোমুখি হয়ে এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল তারা। গত বছর টি২০ বিশ্বকাপেও প্রোটিয়াদের হারিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস।


গতকালের জয়টি অবশ্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে ম্যাচের পরিস্থিতির কারণে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারছিল না নেদারল্যান্ডসের টপঅর্ডার। ভারতে যে গুটিকয়েক পেস উইকেট আছে, তার মধ্যে অন্যতম ধর্মশালা। গতকাল সেখানে আবার বৃষ্টি হয়েছিল। তাই টস জিতে বোলিং নিতে মোটেই দ্বিধায় ভোগেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণে সময় নেননি রাবাদা-এনগিডিরা। তাদের দুরন্ত বোলিংয়ে ২৭ ওভার শেষে ১১২ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় ডাচরা। তবে এর পরই যেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিংয়ের আসল অধ্যায় শুরু হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন স্কট এডওয়ার্ডস। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ এডওয়ার্ডস উইকেটে এসেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। বিশেষ করে স্পিনারদের বিপক্ষে দারুণ সব শট খেলতে শুরু করেন। তাঁকে চমৎকার সঙ্গ দেন ফন ডার মারউই। অষ্টম উইকেটে তারা দু’জন মাত্র ৩৬ বলে ৬৪ রান যোগ করেন। এ জুটিতেই দুইশর গণ্ডি পার হয় নেদারল্যান্ডস। ১৯ বলে ২৯ রান করে মারউই আউট হলে রান তোলার পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন এডওয়ার্ডস। তবে দশ নম্বরে উইকেটে যাওয়া আরিয়ন দত্তও চমক দেখিয়েছেন। ৩টি বিশাল ছক্কায় ১৪ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে এডওয়ার্ডস ছিলেন অনন্য। দেড়শ করাই যেখানে দুঃস্বপ্ন মনে হচ্ছিল, সেখানে দলের রান তিনি আড়াইশর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন। অধিনায়কের ৬৯ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়ে যায় ডাচরা।

আরও পড়ুন

×