ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ইউরো: অনামি থেকে তারকা যারা

ইউরো: অনামি থেকে তারকা যারা

অলমো (বাঁ থেকে), গ্যাকপো, মামাদাসভিলিরা ইউরোয় আলো কেড়েছেন।

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪ | ২২:০০ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪ | ২২:০০

এক মাসের লড়াইয়ে ফাইনাল বাদে ৫০টি ম্যাচ হয়েছে। দুই ফাইনালিস্ট বাদে ছিটকে গেছে ২২টি দল। এই এক মাসে প্রত্যাশিতভাবেই আগামীর তারকা হিসেবে লামিনে ইয়ামাল, জামাল মুসিয়ালা, আরদা গুলেররা বার্তা দিয়েছেন। একইভাবে বেশ কয়েকজন স্কোয়াডের সাধারণ সদস্য হিসেবে আসরে এসে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে তারকা বনে গেছেন। তেমন কয়েকজন সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।

দানি ওলমো: কিশোর লামিনে ইয়ামালের চমক দেখানোটা মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না। বার্সেলোনার হয়ে দারুণ এক মৌসুম কাটিয়ে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ম্যানচেস্টার সিটির তারকা মিডফিল্ডার রদ্রি, অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতার দিকেই নজর ছিল সবার। তবে সবচেয়ে কার্যকর হয়ে উঠেছেন দানি ওলমো। স্পেনের ছয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া ২৬ বছরের এ ফরোয়ার্ড গোল্ডেন বুটের দৌড়ে আছেন। ৩টি গোলের পাশাপাশি ২টি অ্যাসিস্ট করেছেন লাইপজিগের এ ফুটবলার।

কোডি গ্যাকপো: গত ২০ বছরে এই প্রথম ইউরোর সেমিতে খেলল নেদারল্যান্ডস। তাদের এ অর্জনের পেছনে মূল অবদান কোডি গ্যাকপোর। এই ডাচ ফরোয়ার্ড ৩ গোল করেছেন। কাতার বিশ্বকাপেও ৩ গোল করেছিলেন তিনি। সেই নৈপুণ্যে মুগ্ধ হয়েই তাঁকে কিনেছিল লিভারপুল। তবে ক্লাবে তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। প্রিয় পজিশন লেফট উইংয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ না পাওয়াও এর বড় কারণ। জাতীয় দলে সে সমস্যা নেই। তাই ২৫ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড ইউরোতে জ্বলে উঠেছিলেন। 

গিওর্গি মামাদাসভিলি: জর্জিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা ন্যাপোলির স্ট্রাইকার কাভিচা খাবারতাস্কেলিয়া। তবে তাঁকে ছাপিয়ে ইউরোতে জর্জিয়া বড় তারকা হয়ে উঠেছিলেন গিওর্গি মামাদাসভিলি। ২৩ বছর বয়েসী এ গোলরক্ষককে ‘ম্যান মাউন্টেন’ নামে ডাকা হচ্ছে। চার ম্যাচে তিনি ৩০টি সেভ করেছেন, যা ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৮ সালে ৩২ সেভ করে শীর্ষে আছেন রাশিয়ার গোলরক্ষক ইগর আকিনফেভ। 

মার্ক গুয়েহি: এই প্রথম বড় কোন টুর্নামেন্ট খেলছেন ইংলিশ ডিফেন্ডার মার্ক গুয়েহি। প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইংল্যান্ড দলে জায়গাটা পাকা করে ফেলেছেন তিনি। ২৩ বছর বয়েসী এ তারকা গ্যারেথ সাউথগেটের দলের রক্ষণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সদস্য। জন স্টোন্সের সঙ্গে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় রক্ষণ সামলাচ্ছেন তিনি। তাদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে মাত্র তিন গোল হয়েছে। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও অবদান রাখেন ক্রিস্টাল প্যালেসের এ ডিফেন্ডার। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে অন্তিম মুহূর্তে বেলিংহামের সমতা সূচক গোলটি তিনিই অ্যাসিস্ট করেছিলেন।

আরও পড়ুন

×