ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সাক্ষাৎকার

ইমনের আদর্শ মাশরাফি

ইমনের আদর্শ মাশরাফি

ছবি- বিসিবি

সেকান্দার আলী

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২:২৯

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের আগে ইকবাল হোসেন ইমন ছিলেন অপরিচিত মুখ। এক টুর্নামেন্টে ভালো খেলে পরিচিতি পেয়ে গেছেন। যুব এশিয়া কাপে ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন তিনি। গতকাল ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করে হলেন ম্যাচসেরা। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন দলের চ্যাম্পিয়ন বোলার ইকবাল হোসেন ইমন নিজের বোলিং পারফরম্যান্স এবং উঠে আসার গল্প দুবাই থেকে ফোনে শুনিয়েছেন সেকান্দার আলীকে

সমকাল: ইমন, অভিনন্দন শিরোপা জেতায়; সেমিফাইনাল, ফাইনাল ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ায়।
ইমন:
ধন্যবাদ। সবার দোয়ায় ভালো করতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও চেষ্টা করব, দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো খেলতে।

সমকাল: ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার আনন্দ কি একটু বেশি?
ইমন:
আলহামদুলিল্লাহ, ভালোই লাগছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল শিরোপা জয় করা। জিততে পেরে খুশি।

সমকাল: টুর্নামেন্টজুড়েই পেসাররা ভালো করেছেন। এই ভালো করার রসায়ন কী?
ইমন:
আসলে বিশ্বাসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন আরেকজনকে সাপোর্ট দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। একজন মার খেলে অন্যজন যেন তাকে কাভার দিতে পারে। এই পরিকল্পনা নিয়ে বোলিং করেছি। আমাদের যিনি বোলিং কোচ, তিনি অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো করেছি এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।

সমকাল: শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি বাদ দিলে পুরো টুর্নামেন্টে ভালো বোলিং করেছেন। শেষ দুটি ম্যাচে বেশি ভালো করেছেন। এটা কি পরিকল্পিত?
ইমন:
সেমিফাইনালের ম্যাচে সকালে বোলিং করেছি। আমি উইকেটে গিয়ে ভালো করে দেখেছি। কেমন বোলিং করলে ভালো হবে, তা বোঝার চেষ্টা করেছি। কোন জায়গায় বোলিং করলে ব্যাটার দুর্বল হবে। এগুলো বুঝে পরিকল্পনা সেট করে বোলিং করেছি এবং আমার পরিকল্পনা সফল হয়েছে। ফাইনালে একই কাজ করেছি। যাই হোক, আমাকে ম্যাচ জেতাতে হবে। আমরা পেস বোলাররাই ম্যাচ জেতাতে পারব– এই চিন্তা করে বোলিং করেছি এবং জিতেছি। আলহামদুলিল্লাহ।

সমকাল: বোলিংয়ের আগে আপনারা অধিনায়ককে কী বলেছিলেন, আর অধিনায়ক বা কী বলেছিলেন?
ইমন:
আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো করতে পারব। অধিনায়কও বিশ্বাস করেছিলেন, আমরা পারব। সমন্বিত চেষ্টায় আমরা জিতেছি। 

সমকাল: টুর্নামেন্টের আগে ভারতের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে জিতেছিলেন। সেখান থেকে কোনো আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন?
ইমন:
অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমরা ওই ম্যাচ খেলে বুঝে গিয়েছিলাম ভারতের টপঅর্ডারে দু’জন ভালো ব্যাটার আছে। তারা আউট হলে ম্যাচ জেতা সহজ হবে। চেষ্টা ছিল দ্রুত ব্রেক থ্রু দেওয়া। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওদের ওপেনিং জুটি ভেঙে দিতে পেরেছি।

সমকাল: পাঁচটি ম্যাচ খেলে কীভাবে এশিয়া কাপের জন্য তৈরি হলেন?
ইমন:
টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের প্রস্তুত করেছে। ফিটনেস, স্কিল– সব দিক থেকে ভালো কাজ হয়েছে। এর আগে আমাদের একজন পেস বোলিং কোচ ছিলেন নাজমুল স্যার। তিনি অনেক শ্রম দিয়েছেন।

সমকাল: কাকে দেখে পেস বোলিংয়ে এসেছেন? কাকে ভালো ফলো করেন?
ইমন:
আমি সুইংয়ের জন্য জেমি অ্যান্ডারসনকে ফলো করি। আর সব মিলিয়ে দেখলে শোয়েব আখতারকে ফলো করি। তাদের দেখেই আমার পেস বোলার হতে আগ্রহ।

সমকাল: বাংলাদেশে কাউকে ভালো লাগেনি?
ইমন:
আইডল হিসেবে দেখলে মাশরাফি ভাই। 

সমকাল: খেলা শিখেছেন কোথায়?
ইমন:
মৌলভীবাজারে রাসেল স্যার আমার পেছনে অনেক শ্রম দিয়েছেন। তাঁর কারণে আমি আজ ইমন। ভালো করতে পারছি, আলহামদুলিল্লাহ।

সমকাল: জাতীয় দলে তো এখন অনেক ভালো ভালো পেসার। তাদের বিট করে খেলতে হবে আপনাকে?
ইমন:
অবশ্যই চেষ্টা থাকবে ভালো করে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার। ক্যারিয়ার শেষে যাতে নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো জায়গায় দেখতে পারি।

আরও পড়ুন

×