ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

‘ফুটবলের লেব্রন জেমস’ হতে চান রোনালদো

‘ফুটবলের লেব্রন জেমস’ হতে চান রোনালদো

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও তার ছেলে জুনিয়র। ছবি: ফাইল

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯:৫৫

এই ফেব্রুয়ারিতেই চল্লিশে পা রাখবেন। এই বয়সেও তিনি ঠিক কতটা ফিট– একটা ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতেই তিনি তা বুঝিয়ে দিলেন। ক্রিসমাসের ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে ফিনল্যান্ডে গেছেন সিআর সেভেন। সেখানে সান্তাক্লজের বাড়িখ্যাত ল্যাপল্যান্ডে গিয়ে মাইনাস টু ডিগ্রি সেলসিয়াসে বরফ শীতল পানিতে নেমেছিলেন।

ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র বাবার এই মজার চ্যালেঞ্জে বিমোহিত হলেও সেই পানিতে নামার সাহস দেখায়নি। আসলে রোনালদোর শারীরিক কন্ডিশন অন্য যে কারোর চেয়ে এগিয়ে, সেটা বুঝে নিয়েছেন অনেকেই। তাদেরই একজন রোনালদোর সাবেক এক কোচ রেনি মিউলেস্টন। ম্যানচেস্টারে থাকার সময় ডাচ এই কোচের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন রোনালদো। 

গোলডটকমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই কোচ রোনালদোর ভবিষ্যৎ দুটি ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। সেই দুটি ইচ্ছা পূরণ হলে পরেই নাকি অবসরের কথা ভাববেন রোনালদো। তার সেই ইচ্ছা দুটি এমন– ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ১ হাজার গোল করা এবং ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের সঙ্গে একই দলের হয়ে খেলা। প্রথম লক্ষ্যটি পূরণ করার জন্য রোনালদোর দরকার আর ৮৪টি গোল আর দ্বিতীয় লক্ষ্যের জন্য আরও অন্তত চার থেকে পাঁচ বছর ক্লাব ফুটবল খেলে যেতে হবে তাঁকে। কেননা, এই মুহূর্তে তাঁর ছেলের বয়স ১৪।

আসলে ছেলের সঙ্গে খেলতে নামার এই অনুপ্রেরণাটা রোনালদো পেয়েছেন বাস্কেটবলের কিংবদন্তি লেব্রন জেমসের কাছ থেকে। আমেরিকার পেশাদার এই বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের বয়সও রোনালদোর কাছাকাছিই। গেল অক্টোবরেই লেব্রন জেমস তাঁর কুড়ি বছরের ছেলে ব্রোনি জেমসের সঙ্গে এলএ লেকার্সের হয়ে খেলতে নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। মাত্র চার মিনিট তারা একসঙ্গে কোর্টে ছিলেন। কিন্তু তাতেই দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। 

ফুটবলের এই লেব্রন জেমসই হতে চাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ‘হতে পারে লেব্রনকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছে রোনালদো। কয়েক বছর আগেই আমি বলেছিলাম, রোনালদো নিভতে থাকা মোমবাতির মতো নিজেকে ফুরিয়ে দিতে দেবেন না। যতক্ষণ সে মনে করবে দলের জন্য কিছু করতে পারবে, ততক্ষণ খেলে যাবে। তবে সবকিছুরই তো একটা কাটঅফ টাইম থাকে। আমি মনে করি, সেখানে গিয়ে সে তার ছেলের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন দেখছে।’

ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র এরই মধ্যে বাবার মতো ফুটবলে পা রাখতে শুরু করেছেন। ইতালিতে থাকার সময় জুভেন্তাসের একাডেমি দলের হয়ে এক মৌসুমেই ৫৮ গোল করেছিলেন। এখন সৌদি আরবে আল নাসরে একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পেশাদার ফুটবলে পা রাখতে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের আরও অন্তত বছর চারেক অপেক্ষা করতেই হবে। সেই সময় পর্যন্ত রোনালদোও হয়তো ক্লাব ফুটবল খেলে যাবেন। আগামী বছরই সৌদি ক্লাবের সঙ্গে রোনালদোর চুক্তি শেষ হচ্ছে। 

ম্যানইউর সাবেক কোচ রেনি মিউলেস্টন মনে করেন, ইউরোপে ফেরা নয়,  চুক্তি নবায়ন করে সৌদিতেই থেকে যাবেন রোনালদো। ‘সৌদি ক্লাবকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন করার দীর্ঘমেয়াদি একটা লক্ষ্য রয়েছে রোনালদোর। ইউরোপে হয়তো সে ফিরবে না, অন্তত ইংলিশে লিগে নয়। লা লিগায় কোনো দলে ফিরলেও ফিরতে পারে। তবে  আপাতত তার লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা।’ 

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে লেব্রন জেমস আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দু’জনেই সফল অ্যাথলেট। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিএতে সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোরার লেব্রন, অন্যদিকে রোনালদোও সর্বোচ্চ গোল শিকারি। লেব্রনের ইচ্ছাটা যখন পূরণ হয়েছে, তখন রোনালদোরইবা কেন হবে না? 

আরও পড়ুন

×