ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভবিষ্যত নিয়ে গুঞ্জন শেষ হচ্ছে। আল নাসরেই থাকছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। সৌদি প্রো লিগের শীর্ষ ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এই তথ্য।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন ‘আল নাসর অধ্যায় শেষ’। তবে ফুটবল যাত্রার শেষটা এখনই নয় সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। ১৫ জুন শুরু হওয়া ক্লাব বিশ্বকাপ ঘিরে তাই ফুটবলের দলবদলের বাজারে আলোচিত নাম সিআরসেভেন।

ঠিক বিশ্বকাপের মতো করে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ফিফা। ৩২ দল যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এক মাসের এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। নতুন ফরম্যাটের এই ক্লাব বিশ্বকাপে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না থাকলে কি মানায়!

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছেলে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র প্রথমবার পর্তুগালের বয়সভিত্তিক দলে ডাক পেয়েছে। আগামী জুনে ১৫ বছর পূর্ণ হবে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের। তার আগে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পেয়েছে সে।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং জর্জিনা রদ্রিগুয়েজ একসঙ্গে বাবা ও মা হয়েছেন। এই জুটির একসঙ্গে দুটি সন্তান আছে। তারা হলো- আলানা মার্টিন ও বেলা এসমেরেল্ডা। তবে দীর্ঘদিন প্রেম করার পরও আনুষ্ঠানিক বিয়ে করেননি তারা।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড। ফুটবল খেলে তার রোজগার, বিজ্ঞাপন থেকে আয়, সোস্যাশ মিডিয়া থেকে আসা অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকায় যে অর্থ তিনি উপার্জন করেন তার সঙ্গে রোনালদো ব্র্যান্ড ব্যবহার করে অন্যের করা আয়কে একত্রিত করে ২০২৫ সালে সিআরসেভেন ব্র্যান্ডের মূল্য দাঁড়াবে রেকর্ড ৮৫০ মিলিয়ন ইউরো বা ১১ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। 

অবসরের পর ফুটবল নিয়ে পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কোচিংয়ে ক্যারিয়ার শুরু করার পরিকল্পনা নেই তার। আসতে চান ক্লাব পরিচালনায়।

লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছিল চরমে। মাঠের লড়াইয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর দু’জন গোলের জন্য, শিরোপার জন্য ও পুরস্কারের জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করেছেন।

এই ফেব্রুয়ারিতেই চল্লিশে পা রাখবেন। এই বয়সেও তিনি ঠিক কতটা ফিট– একটা ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতেই তিনি তা বুঝিয়ে দিলেন। ক্রিসমাসের ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে ফিনল্যান্ডে গেছেন সিআর সেভেন।

সৌদি আরব ২০৩৪ সালে এককভাবে আয়োজন করবে ফুটবল বিশ্বকাপ। বুধবার ফিফা বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও জাপান শুরুতে ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী হলেও পরে তারা আবেদন করেনি। যে কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ত্ব পেয়েছে সৌদি।