ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল আশরাফুল-নাসিররা

ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল আশরাফুল-নাসিররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯ | ০৪:৪২

বিপ টেস্টে ১১ নম্বরের মাপকাঠির সঙ্গে একমত নন সবাই। দু'দিন আগেই যেমন জাতীয় লিগের নিয়মিত মুখ তুষার ইমরান বললেন, বিপ টেস্টে ১১ নির্ধারণ করা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু রাজ্জাক ভাই আমার মতো সিনিয়রদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক করা ঠিক হয়নি। বিপ টেস্টের মতো শক্ত ফিটনেস পরীক্ষায় ১১ তোলার আস্থা তার মতো অনেকেরই ছিল না।

মঙ্গলবার হওয়া প্রথম ফিটনেস টেস্টে তাই ১১ নম্বর না পাওয়ায় ফেলের খাতায় পড়েছেন অনেকে। তবে তরুণদের মধ্যে পরিচিত নাম তেমন একটা নেই ওই তালিকায়। আবার দু-একজন সিনিয়রও বিপ টেস্টে ভালো করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা মোহাম্মদ আশরাফুল বিপ টেস্টে পেয়েছেন সাড়ে নয়। আব্দুর রাজ্জাকও দশের ঘরে উঠতে পারেননি।

অবাক করার ব্যাপার হলো ফিট ক্রিকেটার বলে ক্যারিয়ারের শুরুতে পরিচিতি পাওয়া নাসির হোসেন পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। তিনিও উঠতে পারেননি দশের কোটায়। এছাড়া ইলিয়াস সানিও আছেন ফেলের কাতারে। আরাফাত সানি ১০.৯ পেয়ে অল্পের জন্য ফেলের খাতায় পড়েছেন। নয়ের ঘরে আটকে যাওয়া ক্রিকেটারও আছেন। তবে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা জুনায়েদ সিদ্দিকি বিপ টেস্টে পেয়েছেন ১১.২ নম্বর।

সাব্বির রহমান এবং রাজশাহী জোনে খেলে ওপেনার মিজানুর রহমানও ১১'র ওপরে নম্বর তুলেছে। মিজানুর তো ফেসবুকে একটি সেলফি পোস্ট করেছেন সাব্বির-জুনায়েদকে নিয়ে। এটাকে পরীক্ষায় জিপিএ-সিজিপিএ পাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। লিখেছেন, 'জুনায়েদ ভাই সিজিপিএ ১১.২, আমার সিজিপিএ ১১.৬।' ওদিকে আবু হায়দার এবং জুবায়ের হোসেন ১১.১ ও ১১.২ পেয়ে টেনে টুনে পাস করেছেন।

ফিটনেস বা বিপ টেস্ট পরীক্ষা আগেও ছিল। এবার শুধু নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে সামনে আরও সুযোগ থাকছে পরীক্ষা দিয়ে ১১ তোলার। মোহাম্মদ আশরাফুল যেমন ৯.৭ পেয়েছেন। তিনি বিসিবির ফিটনেসে জোর দেওয়াকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। নিজে মনে করছেন সপ্তাহখানেক ঘাম ঝরিয়ে গেলে তিনিও লক্ষ্যে পৌছে যাবেন। বিসিবি নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, 'পরীক্ষাটা কঠিন। তবে সবাই ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।'

আরও পড়ুন

×