কৈশোরে টেস্ট খেলা তারকাদের একাদশে মুশফিক

ছবি: ফাইল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২১ | ০২:৫৮
উইজডেন ৩০ বছরের পরে টেস্ট অভিষেক হওয়া বিখ্যাত ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি একাদশ গড়েছে। এবার কৈশোরে টেস্ট অভিষেক হয়েছে এবং পারফরম্যান্স দেখিয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন এমন ক্রিকেটারদের একটি একাদশ দাঁড় করিয়েছে। ওই তালিকায় উইকেটরক্ষক হিসেবে জায়গা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
একাদশে এক দেশ থেকে দু'জনের বেশি ক্রিকেটার রাখা হয়নি। এই একাদশে বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন কেবল অজি পেসার প্যাট কামিন্স এবং বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
নেইল হার্ভে: একাদশে ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছে নেইল হার্ভেকে। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানের অভিষেক হয় ১৯৪৮ সালে। শেষ টেস্ট খেলেছেন ১৯৬৩ সালে। ক্যারিয়ারে তিনি অধিকাংশ সময়ই তিনে ব্যাট করেছেন। উইজডেনের দেওয়া একাদশে কৈশোরে শুরু করে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার শেষ করা তেমন কেউ নেই। তাই হার্ভেকে রাখা হয়েছে ওপেনার হিসেবে।
শচীন টেন্ডুলকার: শচীন টেন্ডুলকার ওয়ানডে, টি-২০ ক্যারিয়ারে অধিকাংশ সময় ওপেনিং করেছেন। কিন্তু টেস্টে তিনি ব্যাট করতেন চারে। উইজডেন তাকে একাদশে ওপেনার হিসেবেই রেখেছ। কারণ ওই জায়গায় উইজডেন পাইনি তেমন কাউকে।
ডেনিস কম্পটন: ১৯ বছর বয়সে অভিষেক হওয়া ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেটার কম্পটন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে তিনি ফিফটি করেছিলেন। তার ক্যারিয়ারে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে ছেদ পড়ে। তবে বিশ্বকাপ পরবর্তী রান খেলা করে তার ব্যাটে। ক্যারিয়ারের ১৭ সেঞ্চুরির ১৫টিই বিশ্বযুদ্ধের পরে করেছেন তিনি।
মার্টিন ক্রো: ২০ শতকে নিউজিল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান মার্টিন ক্রো। তরুণ বয়সে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আসলেও ক্যারিয়ারের শুরুটা তার ভালো হয়নি। তবে শেষ করেছেন অসাধারণ এক ক্যারিয়ার।
গ্রায়েম পলক: দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ২৩টি টেস্ট। কিন্তু তার টেস্ট ক্যারিয়ার স্থায়ী ছিল মাত্র সাত বছর। উইজডেনের করা এই একাদশে জায়গা পেতে সেটাই পলকের জন্য যথেষ্ঠ। কারণ ক্যারিয়ারের ওই ২৩ টেস্টে তিনি ৬১ গড়ে করেছেন ২ হাজার ২৫৬ রান।
গ্যারি সোবার্স: ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই তারকাকে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলা হয়। কারো কারো মতে, ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার সোবার্স। কৈশোরে খেলা টেস্টে তিনি মাত্র একটি ফিফটি করতে পারেন। কিন্তু ২১ বছরেই খেলেন ৩৬৫ রানের ইনিংস। টানা তিন সেঞ্চুরিও করেন ওই বয়সে। তাকে বাদ দিয়ে একাদশ করা সম্ভব ছিল না উইজডেনের পক্ষে।
মুশফিকুর রহিম: ১৮ পূর্ণ হওয়ার আগেই ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। ওই বয়সে লর্ডসে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী পেস আক্রমণের বিপক্ষে ৫৬ বল টিকে থেকে আশা দেন মুশফিক। পরে প্রতিভার প্রমাণও দিয়েছেন। ৩৩ বছর বয়সেও দারুণ ছন্দে খেলে যাচ্ছেন। একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে একাধিক ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। মুশফিক তাই পেয়েছেন তার স্বীকৃতি।
ইমরান খান: কৈশোরে ইমরান খান খেলেছেন মাত্র একটি টেস্ট। তেমন ভালো করতে পারেননি। কিন্তু ক্যারিয়ার শেষ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটের লিজেন্ড হিসেবে। পেসার নন দারুণ পেস অলরাউন্ডার হিসেবে শেষ করেছেন ক্যারিয়ার।
অনিল কুম্বলে: বয়স ২০ বছর ছোঁয়ার আগে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের আগমনী বার্তা দেওয়া আরেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার অনিল কুম্বলে। ক্যারিয়ার জুড়ে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি।
ওয়াসিম আকরাম: উইজডেনের এই একাদশে থাকাদের অনেকেই ক্যারিয়ারে ভালো করেছেন কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জনের পর। কিন্তু ওয়াসিম আকরাম শুরু থেকেই ছিলেন দুর্দান্ত। ১৮ বছরের আগেই তিনি এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। টেস্ট ইতিহাসের সেরা বাঁ-হাতি পেসার বললে ভুল হবে না তাকে।
প্যাট কামিন্স: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তরুণ বয়সে অভিষেক হয়েছিল অজি পেসার প্যাট কামিন্সের। দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে নয় বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছেন। ক্যারিয়ার জুড়ে দারুণ সফল এই অজি পেসার।