ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তিপণ্য, যেমন– ফ্রিজ, এসি, টিভি আমদানিতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো; এখন সেসব পণ্য ওয়ালটন বাংলাদেশে উৎপাদন করছে। 
ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। বিশ্বের চার মহাদেশের ৪৪টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বাড়ছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে ওয়ালটন। ব্র্যান্ডটির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান হচ্ছে। তারা দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
ই-বর্জ্য বিষয়ে ক্রেতার মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও দেশে তৈরি প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করতে আইটি মেলার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ইসিএস কম্পিউটার সিটির আইটি মেলা আজ শেষ হবে। সারাদেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিকভাবে ব্র্যান্ডটির উদ্যোগে কম্পিউটারের আইটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রযুক্তি মেলায় অদল-বদল (এক্সচেঞ্জ) অফারে পুরাতন ও অচল পণ্যের বদলে ওয়ালটনের নতুন আইটি পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় ও অনলাইনের ই-প্লাজার বিশেষ অফারের সঙ্গে ওয়ালটন কম্পিউটারের নির্দিষ্ট 
পণ্য ক্রয়ে মিলবে বিশেষ উপহার।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এমন উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হচ্ছে, তেমনি ক্রেতারা তাদের পুরাতন বা নষ্ট পণ্যের বিনিময়ে ওয়ালটনের নতুন পণ্য ক্রয়ে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে পরিবেশের সুরক্ষার সঙ্গে ক্রেতারা লাভবান হচ্ছেন। দেশি পণ্য ব্যবহারের ফলে আমদানিনির্ভরতা কমবে, দেশীয় শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। ফলে সমৃদ্ধ হবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, এখন কম্পিউটার এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-৪ উৎসব চলছে। আগ্রহীরা যে কোনো ব্র্যান্ডের সচল বা অচল ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটর, প্রিন্টার, ট্যাব, স্পিকার, সিসিটিভি পণ্য বদলে বিশেষ ছাড়ে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সমজাতীয় নতুন পণ্য কিনতে পারবেন। ছয় মাসের কিস্তি বা ইএমআইতে পণ্য ক্রয়ে মিলবে মূলছাড়। অন্যদিকে, অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকেও এক্সক্লুসিভ অফারের আইটি পণ্য ক্রয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। সুনির্দিষ্ট আইটি পণ্যের সঙ্গে থাকবে ফ্রি পণ্য। ক্রেতারা বিভাগীয় আইটি মেলায় সবকটি সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন ইসিএস কম্পিউটার সিটির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম হাজারী ও কো-কনভেনর ওহিদুল ইসলাম দীপু।