সাইবার নিরাপত্তা আইন

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হয়েছে। এটি ছিল দেশের সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ও সমালোচিত আইনগুলোর একটি। আমরা অত্যন্ত পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর একটি সংশোধনী প্রস্তুত করেছি। সেটি চূড়ান্তের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। 

চাঁদাবাজি ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানিকগঞ্জ শাখার দুই সাবেক নেতাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে তাদের হাজির করা হয়।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ রহিতক্রমে সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত এবং সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ শনাক্ত, প্রতিরোধ, দমন ও এ অপরাধের বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে প্রণীত হয় এই অধ্যাদেশ।

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে আসছে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’। নানা আলোচনা-পর্যালোচনার পর অধ্যাদেশটির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রংপুরের পীরগাছায় তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। রোববার (৩০ মার্চ) কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নেছার আহম্মেদ মামলাটি করেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে। এই আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। পাশাপাশি মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কিছু ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করে বেআইনি লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পেরেছে, এসব লেনদেনে গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া সার্বিকভাবে ব্যাংকগুলোতে সাইবার আক্রমণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।

সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধনযোগ্য নয় বলে দাবি করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। আইনটি অবিলম্বে বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল বাতিল করা উচিত। শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইন নয়, পর্যায়ক্রমে সব কালো আইন বাতিল করা হবে। আমরা সাইবার আইনটি নিয়ে আরও মতামত নেব। প্রয়োজনে সাইবার সুরক্ষা দিতে নতুন আইন করা হবে। বিশেষ করে নারীদের সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে কাজ করবে এটি। তিনি আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া ‘স্পিচ অফেন্স’ (মুক্তমত প্রকাশ) সম্পর্কিত মামলাগুলো সরকার দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব মামলায় কেউ গ্রেপ্তার থাকলে তিনিও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি পাবেন।