খুলনায় মাঝপথে বন্ধ হাজার কোটি টাকার কাজ

হাসান হিমালয়, খুলনা
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪:২৩
খুলনা নগরীর জোড়াকল বাজার থেকে সাহেবখালী খাল পর্যন্ত ড্রেনসহ ফুটপাত নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২১ সালের ৮ জুন। এরপর গত ২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার ও ২৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বার দরপত্র আহ্বান করা হয়। একবারও দরপত্র জমা পড়েনি। প্রায় তিন কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণের জন্য চতুর্থবার দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় সোলার পার্কের পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য দুই দফা দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। চার কোটি ৫৬ লাখ টাকার এই কাজে একবারও অংশ নেননি কোনো ঠিকাদার।
শুধু এ দুটি কাজই নয়, গত এক মাসে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের জন্য ৯টি দরপত্রে কোনো ঠিকাদার অংশ নেননি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খাল খনন ও ড্রেন সংস্কারের জন্য ১৬টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ দরপত্র জমার শেষ দিন। এসব কাজে কেসিসির নিয়মিত ঠিকাদাররা অংশ নিচ্ছেন না।
এদিকে, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৬১টি সড়ক ও ড্রেনের সংস্কারকাজ চললেও নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব কাজে গতি কমে গেছে। অনেকে মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে প্রায় হাজার কোটি টাকার কাজ বন্ধ আছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে নগরীর মানুষের।
ঠিকাদাররা জানান, গত কয়েক মাসে নির্মাণসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সে তুলনায় কেসিসির শিডিউল দর অনেক কম। কাজ করে প্রত্যেকেরই বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান হচ্ছে। আবার বেশি দাম দিয়েও পাথর পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য বাধ্য হয়ে অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন। নিশ্চিত লোকসান হবে জেনে দরপত্রে কেউ অংশ নিচ্ছেন না।
কেসিসির পূর্ত বিভাগ থেকে জানা গেছে, বর্তমানে নগরীতে ৮২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ৬০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩২২ কোটি টাকার কাজ চলছে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ১২৮ কোটি টাকার কাজ চলছে। নতুন দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে আরও ১০০ কোটি টাকার। এ ছাড়া সড়ক বিভাগ, কেডিএ, গণপূর্ত বিভাগের আরও পাঁচশ কোটি টাকার কাজ চলছে। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে এসব কাজে।
সূত্র জানায়, কেসিসির ৮২৩ কোটি ও ৬০৭ কোটি টাকার প্রকল্প দুটি অনুমোদন হয়েছে ২০১৮ সালে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০১৮-১৯ সালের দর অনুযায়ী প্রকল্প দুটি অনুমোদন পায়। এ কারণে দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে তিন বছরের আগের দর অনুযায়ী। বর্তমানে বাজারদর এর চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
কেসিসির উন্নয়নকাজের দরপত্রে দেখা গেছে, ৬০ গ্রেডের প্রতি কেজি রডের দাম ধরা হয়েছে ৬৭ টাকা। ২০ মিলিমিটার পাথরের দাম প্রতি ঘনফুট ১৭৫ টাকা, ১২ মিলিমিটার ১৬৪ টাকা, প্রতি ব্যাগ সিমেন্ট ৪০০ টাকা।
মঙ্গলবার খুলনার বাজারে প্রতি কেজি রড ৮৯ থেকে ৯২ টাকা, পাথর ২২৫ থেকে ২৩০ এবং সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে প্রতি ব্যাগ ৪৮০ টাকা।
কেসিসির ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা বলেন, বেশি দামে রড-সিমেন্ট কিনে কাজ করলেও বিল পাবেন কেসিসির দর অনুযায়ী। প্রতিটি উপকরণে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, ছোট অনেক ঠিকাদার পথে বসে গেছেন। লোকসানের ভয়ে কেউ নতুন দরপত্রে অংশ নিচ্ছেন না।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, ২০১৮-১৯ সালের দরে প্রকল্প পাস হয়েছে। এখন নির্মাণসামগ্রীর দর বাড়ানোর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ড্রেনের কাজের নতুন দরপত্রে কেউ অংশ নিচ্ছে না। চলমান কাজও ঠিকাদাররা করতে চাইছেন না।
কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক সমকালকে বলেন, সরকারি দর বাড়াতে হলে প্রকল্প সংশোধন করতে হবে। বিষয়টি স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
শুধু এ দুটি কাজই নয়, গত এক মাসে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের জন্য ৯টি দরপত্রে কোনো ঠিকাদার অংশ নেননি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খাল খনন ও ড্রেন সংস্কারের জন্য ১৬টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ দরপত্র জমার শেষ দিন। এসব কাজে কেসিসির নিয়মিত ঠিকাদাররা অংশ নিচ্ছেন না।
এদিকে, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৬১টি সড়ক ও ড্রেনের সংস্কারকাজ চললেও নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব কাজে গতি কমে গেছে। অনেকে মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে প্রায় হাজার কোটি টাকার কাজ বন্ধ আছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে নগরীর মানুষের।
ঠিকাদাররা জানান, গত কয়েক মাসে নির্মাণসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সে তুলনায় কেসিসির শিডিউল দর অনেক কম। কাজ করে প্রত্যেকেরই বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান হচ্ছে। আবার বেশি দাম দিয়েও পাথর পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য বাধ্য হয়ে অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন। নিশ্চিত লোকসান হবে জেনে দরপত্রে কেউ অংশ নিচ্ছেন না।
কেসিসির পূর্ত বিভাগ থেকে জানা গেছে, বর্তমানে নগরীতে ৮২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ৬০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩২২ কোটি টাকার কাজ চলছে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ১২৮ কোটি টাকার কাজ চলছে। নতুন দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে আরও ১০০ কোটি টাকার। এ ছাড়া সড়ক বিভাগ, কেডিএ, গণপূর্ত বিভাগের আরও পাঁচশ কোটি টাকার কাজ চলছে। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে এসব কাজে।
সূত্র জানায়, কেসিসির ৮২৩ কোটি ও ৬০৭ কোটি টাকার প্রকল্প দুটি অনুমোদন হয়েছে ২০১৮ সালে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০১৮-১৯ সালের দর অনুযায়ী প্রকল্প দুটি অনুমোদন পায়। এ কারণে দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে তিন বছরের আগের দর অনুযায়ী। বর্তমানে বাজারদর এর চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
কেসিসির উন্নয়নকাজের দরপত্রে দেখা গেছে, ৬০ গ্রেডের প্রতি কেজি রডের দাম ধরা হয়েছে ৬৭ টাকা। ২০ মিলিমিটার পাথরের দাম প্রতি ঘনফুট ১৭৫ টাকা, ১২ মিলিমিটার ১৬৪ টাকা, প্রতি ব্যাগ সিমেন্ট ৪০০ টাকা।
মঙ্গলবার খুলনার বাজারে প্রতি কেজি রড ৮৯ থেকে ৯২ টাকা, পাথর ২২৫ থেকে ২৩০ এবং সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে প্রতি ব্যাগ ৪৮০ টাকা।
কেসিসির ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা বলেন, বেশি দামে রড-সিমেন্ট কিনে কাজ করলেও বিল পাবেন কেসিসির দর অনুযায়ী। প্রতিটি উপকরণে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, ছোট অনেক ঠিকাদার পথে বসে গেছেন। লোকসানের ভয়ে কেউ নতুন দরপত্রে অংশ নিচ্ছেন না।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, ২০১৮-১৯ সালের দরে প্রকল্প পাস হয়েছে। এখন নির্মাণসামগ্রীর দর বাড়ানোর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ড্রেনের কাজের নতুন দরপত্রে কেউ অংশ নিচ্ছে না। চলমান কাজও ঠিকাদাররা করতে চাইছেন না।
কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক সমকালকে বলেন, সরকারি দর বাড়াতে হলে প্রকল্প সংশোধন করতে হবে। বিষয়টি স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।