ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

শিক্ষকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক

কলেজছাত্রীর বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, এলাকায় তোলপাড়

কলেজছাত্রীর বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, এলাকায় তোলপাড়

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২২ | ০২:৩২ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২২ | ০২:৩২

কলেজছাত্রীর সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকলেও তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল (২৯)। এরপরই ওই শিক্ষকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে এলাকায় রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত শিক্ষক গা ঢাকা দিলেও লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগী ওই তরুণী ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম কার্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী।

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গুয়াধানা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত সুকান্ত মন্ডল ওই গ্রামের সুনীল মন্ডলের ছেলে। তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঘোষেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

প্রতারণার শিকার ওই কলেজছাত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চাইনি। সুকান্তের প্ররোচনায় তার বন্ধু পূর্ণেন্দু ও রমেন আমাকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করায়। কিছুদিন পরই সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন করে। এভাবে কিছুদিন চলার পর বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়। তখন গ্রাম্য ভাবে দুই পক্ষ বসে আমাদের আলাদা হয়ে যেতে বলে।
ওই কলেজছাত্রী আরও বলেন, গ্রামের মুরব্বিদের কথার সম্মান রেখে আমরা আলাদা হয়ে যাই। তখন দ্রুত বিয়ের কথা বলে আবার প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় সুকান্ত। তারপর একাধিকবার বিভিন্ন হোটেলে আমরা রাত কাটাই। কিছুদিন পরে রেজিস্ট্রি করার জন্য আমি তাকে চাপ দেই। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এর এক পর্যায়ে আমার সাথে যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সুকান্ত প্রেমের নামে প্রতারণা করেছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সুকান্ত বিভিন্ন লোকজন দিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে। অবস্থা বেগতিক দেখে সুকান্ত গা ঢাকা দিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল বলেন, তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এখন আর নেই। কিন্তু তার সাথে আমি কোথাও রাত কাটাইনি। এ ব্যাপারে সৃষ্ট সমস্যা মেটাতে আমার গ্রামের মুরব্বিরা উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্রামের পরিস্থিতি খারাপ। এজন্য আমি আত্মোগোপনে আছি।

এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের ৬ নভেম্বর ওই তরুণীর সাথে রাজধানী ঢাকার ওয়ারির একটি আবাসিক হোটেলে রাত কাটান সুকান্ত মন্ডল। ওই হোটেলের বোর্ডার রেজিস্ট্রার খাতার একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২ টায় তারা হোটেলে প্রবেশ করে এবং পরদিন একই সময় তারা হোটেল ত্যাগ করেন। বোর্ডার রেজিস্ট্রার খাতায় অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত ও ভুক্তভোগী তরুণীর স্বাক্ষরও রয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কল্পনা রানী ঘোষ বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণী কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

আরও পড়ুন

×