ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সাতক্ষীরায় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সাতক্ষীরায় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২ | ০৫:২৫ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২ | ০৫:২৫

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিঞ্চি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার তেড়লী গ্রামে। স্বামীর সাথে কলকাতার মাটিয়াবুরুজ এলাকায় রাজমিস্ত্রির সহকারীসহ দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি। পারিবারিক কাজে আরও চারজনের সাথে শনিবার ভোররাতে সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর তিনি ধর্ষণের শিকার হন।

ভুক্তোভোগী নারীর অভিযোগ দালালদের সহায়তায় মাথাপিছু ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে যশোর গ্রামের এক নারী ও আরও তিন জনের সাথে শনিবার তিনি দেশে আসেন। ভারতের কালিতলা এলাকা থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশের কালিঞ্চি মুজিব কেল্লা এলাকায় পৌঁছে দেয় দালালরা। বেলা সাড়ে সাতটার দিকে মোটর সাইকেলযোগে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে যাওয়ার সময় বিজিবি ও কোষ্টগার্ডের সোর্স পরিচয় দিয়ে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা তাদের আটক করে। তিনি আরও জানান ,পথিমধ্যে অপর মটর সাইকেলে থাকা তিন ব্যক্তি পালিয়ে গেলেও আরেক নারীসহ তাকে আব্দুল্লাহ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের পর তার সাথে নিয়ে আসা জিনিসপত্র ও মুঠোফোন নিয়ে চলে আব্দুল্লাহ। এর দুই ঘন্টা পর স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে।

রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজগর আলী বুলু জানান, আব্দুল্লাহ ও তার সঙ্গীদের ধাওয়ার মুখে ভারত থেকে আসা তিন ব্যক্তিকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের সাথে থাকা দুই নারীকে স্থানীয় চোরাকারবারী আব্দুল্লাহ আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়ার জন্য নিয়ে যায় বলে তিনি স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছেন।

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল্লাহ বলেন, সোর্স হিসেবে তিনি অবৈধভাবে পার হয়ে আসা দুই নারীসহ অন্যদের বিষয়ে বিজিবিকে তথ্য দিয়েছিলেন। ভুক্তোভোগী নারীর মুঠোফোনসহ যাবতীয় জিনিসপত্র পারাপারের সাথে জড়িত দালালচক্র ছিনিয়ে নেয় বলে তিনি দাবি করেন।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, এ ঘটনায় রোববার পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও পড়ুন

×