ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ঘুষিতে নাক ফাটলো ইউপি চেয়ারম্যানের

উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ঘুষিতে নাক ফাটলো ইউপি চেয়ারম্যানের

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২ | ০৯:৩৬ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২ | ০৯:৩৬

কক্সবাজারের পেকুয়ায় খারাপ আচরণ করার অভিযোগে ঘুষি দিয়ে রাজাখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী। স্থানীয়দের সহায়তায় আহত ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের দশেরঘোনা বারবাকিয়া-রাজাখালী সংযোগ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজাখালীতে একাধিক সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছিল। এসব প্রকল্পের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন চেয়ারম্যান বাবুল। এদিন ব্রীজের উপর ফাঁটা অংশে ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। চেয়ারম্যান তার গাড়ি থেকে নেমে কাজের তদারকি করতে যায়। এসময় প্রকৌশলী তার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের গায়ে হাত তোলে ওই প্রকৌশলী।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা মারধর করে উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর পেকুয়া থানা পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম বলেন, সে (চেয়ারম্যান) আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। আমার শার্ট ধরে টানা হেচড়া করে আমাকে থাপ্পড় মেরেছে। এরপর তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়। ওনার লোকজন আমাকে মারধর করেছে।

এদিকে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বলেন, পেকুয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করতে বাড়ি থেকে বের হই। এসময় দশেরঘোনা সড়কের সংস্কার কাজ চলছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বারবাকিয়া-রাজাখালী সংযোগ ব্রীজে নেমে কাজের তদারকি করি। এ সময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আলিমের সাথে কথা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের বিষয় নিয়ে আগামী সমন্বয় সভায় তাকে আলাপ করতে অনুরোধও করি। কিন্তু তিনি বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আমাকে ঘুষি মারেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের পেকুয়া উপজেলার প্রকৌশলী লুৎফুর রহমান জানান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলিম সাহেব প্রতিদিনের ন্যায় ওই সাইটে কাজ তদারকি করতে যায়। এসময় চেয়ারম্যান এসে জরুরি ভিত্তিতে ওই ব্রীজ সংস্কার করার জন্য উপজেলা সমন্বয় সভায় বলতে বলে। আলিম সাহেব চেয়ারম্যানকে বলার জন্য বললে সাথে সাথে চেয়ারম্যান আলীম সাহেবের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং তার উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে আলীম সাহেবকে থাপ্পড় দিলে সেও ঘুষি মারে। পরে চেয়ারম্যানের লোকজন এসে আলিম সাহেবকে মারধর করে। এরপর পুলিশ গিয়ে আলিম সাহেবকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী এসেছে। থানায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন

×