ফতুল্লায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২০ | ১০:২৯
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকসহ দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মিরসরাইয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পঁয়ষট্টি বছরের এক বৃদ্ধ এবং কক্সবাজারের চকরিয়ায় পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনায় কথিত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
নারায়ণগঞ্জ: প্রতিবেশীর বাসায় আরবি পড়তে যাওয়ার সময় গত রোববার বিকেলে এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষক তূর্য ও তার সহযোগীরা। নিজের বাসায় আটকে রেখে পরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে তূর্য। পরে কিশোরীর পরিবার তূর্যের বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল ওরফে দর্জি শ্যামল বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষক তূর্যকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। ওই কিশোরীর মাকে হুমকি-ধমকি দেয় সে। পরে কাশীপুর খিল মার্কেট এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে ধর্ষক মো. তূর্য এবং যুবলীগ নেতা শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার ওই কিশোরীর মা ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষক তূর্য ও শ্যামলের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা): গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সোমবার পলাশবাড়ি উপজেলার গৃধারীপুর চকপাড়া গ্রামের এক গৃহবধূকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে। এ সময় গৃহবধূর স্বামী বাসায় এলে রফিকুল ইসলামকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে দেখেন। পরে স্ত্রীর কাছে শুনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রফিকুলকে আটক করেন। এ সময় রফিকুলকে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় গৃহবধূ মামলা করেন। রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম): মিরসরাইয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে নানা প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে উপজেলার পশ্চিম মঘাদিয়া গ্রামের রমনী মোহন দাস। সোমবার রাতে ধর্ষক রমনী মোহন দাস ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হলে বড়তাকিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে তার বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
ধর্ষণের শিকার শিশুর মা মামলায় অভিযোগ করেন, তারা স্বামী-স্ত্রী দিনমজুরের কাজ করতে প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এ সুযোগে রমনী মোহন দাস তার মেয়েকে গত এক মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
চকরিয়া (কক্সবাজার): বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গত রোববার কক্সবাজারের চকরিয়ার বালুরচর এলাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের খামারবাড়িতে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ করে কথিত প্রেমিক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার তরুণীর বড় বোন চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে তারেকুল ইসলাম টিটুও রয়েছে। পরে তাৎক্ষণিক অভিযানে কথিত প্রেমিক বেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।