রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার নামে ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পুলিশের সঙ্গে অভিযুক্ত লিটন- সমকাল
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:০৬
বগুড়ায় রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আহসানুল হাসান লিটন (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে লিটনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় লিটনের স্ত্রী মনি বেগম (৩০) পলাতক রয়েছেন।
অভিযুক্ত লিটন বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া উইনিয়নের বুজরুক মাঝিড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত লিটনের সাথে নাটোর জেলার কয়েকজন যুবকের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়াও চলতে থাকে। একপর্যায়ে লিটন নিজেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন ওই যুবকদের নিকট। লিটন ওই যুবকদের জানায়, সাড়ে ৭ লাখ করে টাকা দিলে সে তাদের রেলওয়েতে চাকরি নিয়ে দেবে। লিটনের কথামতো মামলার বাদীসহ ভুক্তভোগীরা ২০১৬ সালের মার্চ মাসে লিটনের বাড়িতে গিয়ে ৩ লাখ টাকা দেন। ওই বছর ২০ ডিসেম্বর চাকরি হয়ে গেছে বলে লিটন তাদের ৬ জনের কাছ থেকে আরো ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারী লিটন তাদের ডেকে ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেয়। ওই নিয়োগপত্রে যোগদানের তারিখ ২০১৭ ফেব্রয়ারী মাসের ১৩ তারিখ লেখা ছিলো। কিন্তু যোগদানের ওই তারিখের আগেই লিটন তাদের ফোন দিয়ে চাকরিতে যোগদানের সময় পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান। এভাবে বেশ কিছুদিন পার হয়ে যায়। পরে লিটন তাদের হাতে আবার নিয়োগপত্র দিয়ে ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রয়ারী সৈয়দপুর নীলফামারি রেলওয়েতে যোগদান করতে বলেন। তারা নিয়োগপত্র নিয়ে সেখানে গেলে তাদের নিয়োগপত্র ভুয়া বলে জানায় রেলওয়ে অফিসের কর্মকর্তারা।
এই ঘটনার পরে প্রতারিত যুবকরা লিটনের টাকা ফেরত চাইরে টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না বলে জানায় লিটন। পরে ওই যুবকদের পক্ষ থেকে হাসান আলী নামের এক যুবক বাদী হয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) আহসানুল হাসান লিটন ও তার স্ত্রী মনি বেগমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা সমকালকে জানান, মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত'র স্ত্রী মনি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, অভিযুক্তকে আাদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। একই সাথে তার স্ত্রীর পাশাপাশি যদি অন্য কেউ জড়িত থাকে তবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।