ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কৃষকের আর্তনাদ, ২৪ ঘণ্টায় তলিয়ে গেছে আরও ‘২০০ হেক্টর’ জমির ধান

কৃষকের আর্তনাদ, ২৪ ঘণ্টায় তলিয়ে গেছে আরও ‘২০০ হেক্টর’ জমির ধান

ছবি: সমকাল

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২২ | ০৩:৫৪ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২ | ০৩:৫৪

উজানের ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নতুন করে আরও ‘২০০ হেক্টর’ বোরো জমি তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে উপরিভাগে থাকা অবশিষ্ট জমিও তলিয়ে যাবে বলে আর্তনাদ করছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় কৃষিবিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে পাশে না পেয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তবে কৃষি বিভাগের দাবি তারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশেই আছেন।

মঙ্গলবার হাওরাঞ্চরে গিয়ে দেখা যায়, মেদির হাওর, আকাশি বিল, আটাওরি বিল, বিল বালিঙ্গা, কচরা বিল, ধইল্যা বিল ও খাসারচরের চারিদিকে পানি থৈ থৈ করছে। এসব বিলের পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকের সোনালী ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার গোয়ালনগর ও সদর ইউনিয়নে। ওই এলাকার কৃষকের দাবি- গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। কিন্তু কৃষি অফিসের দাবি ক্ষতির পরিমাণ ৭০ হেক্টর।

ক্ষতিগ্রস্ত গোয়ালনগর ইউনিয়নের মাছমা গ্রামের বাসিন্দা লাবলু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আল্লাহ ধান ডুবাই দিছে মনে কষ্ট নাই, কিন্তু কৃষি অফিসের কোনো কর্মকর্তা যদি আমাদের খোঁজ খবর নিত, তাইলে মনে একটু শান্তি পাইতাম।’

কৃষক জাকারিয়া বলেন, ‘ধান লাগানো থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কৃষি অফিসের কোনো লোক আমাদের কোনো প্রকার পরামর্শ দেয়নি। জমি সব তলিয়ে গেছে তারপরও স্যাররা মাছমা গ্রামে আসেনি।’

সদর ইউনিয়নের আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘মেদির হাওরে আমার সব জমি পানির নিচে তলাই গেছে। আমার পরিবার পরিজন নিয়া এখন কই যামু আল্লাই জানে।’

উপজেলা কুষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক জানান, ‘উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে এ পর্যন্ত ৭০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আড়াই হাজার কৃষকের নামের তালিকা করা হয়েছে। এককালীন ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান শাওন বলেন, ‘যে সব কৃষকের ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে তা দ্রুত কেটে নিতে হবে। আমরা কৃষকের পাশে আছি।’

দুঃসময়ে কৃষকের পাশে কেন নেই কৃষি বিভাগ- জানতে চাইলে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। নাসিরনগর কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত কাজ করছে।’

আরও পড়ুন

×