খুবিতে পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল হচ্ছে জাদুঘর

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একাত্তরের স্মৃতি ধরে রাখা টিনশেড ঘরটি পরিদর্শনে খুবি উপাচার্য
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২২ | ০৮:৫১ | আপডেট: ২৯ মে ২০২২ | ০৮:৫১
মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত টিনশেড ঘরটিকে ‘গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ বিষয়ে খুলনার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়।
এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসনে আরা, মুক্তিযুদ্ধকালে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবীর মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে মত দেন।
উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতার স্বপক্ষের নিরীহ শত শত মানুষকে হত্যা করে লাশ গল্লামারী ও সংলগ্ন এলাকায় ফেলত। এখানে বিশেষ করে তৎকালীন খুলনা রেডিও সেন্টার কার্যকর ছিল এবং সেটি হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হতো। রেডিও সেন্টারটির পাশেই অবস্থিত একটি টিনশেড ঘরে পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষকে ধরে এনে নৃশংসভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করত। স্মৃতিবাহী সেই টর্চার সেল টিনশেড ঘরটি এখনও ক্যাম্পাসে বিদ্যমান। তবে তা সংস্কারের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি অনেক আগেই কর্তৃপক্ষের চিন্তায় নেওয়ার দরকার ছিল। কেননা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বধ্যভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিলম্বে হলেও বর্তমান উপাচার্য এই স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেজন্য তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, সংস্কার ও উন্নয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতি অধ্যাপক ড. খো. মাহফুজ উদ দারাইন, সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি এস এম নাজিম উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান, এস্টেট শাখার উপ-রেজিস্ট্রার কৃষ্ণপদ দাশ উপস্থিত ছিলেন।
- বিষয় :
- মুক্তিযুদ্ধ
- হানাদার বাহিনী