নয়দিন আটকে রেখে কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৫

প্রতীকী ছবি
নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:৫০
নরসিংদীর মাধবদীতে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ৯ দিন আটক রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে অপহরণকারী দলের মূল হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মাধবদী থানা পুলিশ।
এর আগে গত শনিবার (৫ অক্টোবর) ওই কিশোরীকে মাধবদী থানার দরগাবাড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ময়মনসিংহ সদর থানার রহমতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২০), লালমনিরহাট সদরের চরকুলাঘাপ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আছাদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেবাই গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর ছেলে সুজন (২৭) ও তার সহযোগী একই থানার সাতগ্রাম গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬) এবং মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিশাত মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা।
নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারের বরাতে মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানান, গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় কিশোরীকে মাধবদীর দরগাবাড়ি এলাকার সড়ক থেকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত অপহরণকারী চক্র। চারদিন পর ৯ অক্টোবর মেয়েটির বাবার মোবাইলে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অন্যথায় মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে গত ১২ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাধবদী থানায় মামলা করেন নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা। পরে মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং শুরু করে পুলিশ। এ ঘটনার পর রুবেল নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মুক্তিপণের টাকা নিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এসে পুলিশের হাতে আটক হয়।
পরে আটককৃত রুবেলের দেওয়া তথ্যমতে সাভারের গোমাইল উত্তর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপহরণে সহায়তাকারী ফয়সাল, শাকিল ও আছাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হলেও অপহরণকারী দলের মূলহোতা সুজন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া থেকে সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওসি বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
- বিষয় :
- নরসিংদী
- মাধবদী
- গণধর্ষণ
- অপহরণ
- কিশোরীকে গণধর্ষণ