ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতিতে পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি, সড়কে ধস

পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতিতে পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি, সড়কে ধস

মহারশী নদীর ভাঙনে বিলীনপ্রায় দিঘীর পাড়ের আবুল কাশেমের বসতঘর - সমকাল

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২২ | ০৯:১৬ | আপডেট: ২০ জুন ২০২২ | ০৯:৪১

পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার পাঁচটি গ্রামের পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। 

উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের পাগলারমুখ থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত একমাত্র সড়কের তিনটি সেতু ঢলে ভেঙে গেছে। এতে ওই এলাকাগুলোর সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ঝিনাইগাতির হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাকায় আমার ইউনিয়নের ঘাঘরা কামার পাড়া, প্রধান পাড়া, হাতিবান্ধা, পূর্ব হাতিবান্ধা, বেলতলি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।’

গত ১০-১১ জুন পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায় মহারশি নদীর দীঘির পাড় ও রামেরকুড়া এলাকার ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ। দ্বিতীয় দফায় গত বৃহস্পতিবার ফের পাহাড়ি ঢলে প্রায় ৫৫০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে প্রচুর ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ভেসে যায় নানা স্থাপনা। 

রামেরকুড়া এলাকার লোকমান হোসেন বলেন, ‘এবারের দুই দফায় বন্যায় আমার শেষ সম্বল ঘরটাও নিয়ে গেলো সর্বনাশা মহারশি। এই নদী প্রতি বছরই ভাঙে। কোনো টেকসই বাঁধ না থাকার কারণে দুই পাড় ভেঙে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়; ঘর বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এই ক্ষতি থেকে বাঁচতে আমাদের স্থায়ী বাঁধের দরকার।’ 

উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, বন্যায় উপজেলার প্রায় ৯০০ মিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১১টি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ওয়াশআউট হয়েছে।

ঝিনাইগাতীর কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার বলেন, পাহাড়ি ঢলে প্রায় ৫০টি মৎসখামার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫০ হেক্টর জমির বীজতলা পানিতে ডুবে আছে। ৩০ হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। ৪০ হেক্টর জমির সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, ‘এ পর্যন্ত উপজেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানিতে নিম্মজিত হয়েছে। দুইজন বন্যার পানিতে মারা গেছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছি।’

শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা হয়েছে; আমি একটি চিঠিও পাঠিয়েছি। আশা করছি এ বছরই বাঁধ নির্মাণ কাজ  শুরু করা যাবে। ’



আরও পড়ুন

×