ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ট্রেনযাত্রা

এবার ঈদেও ট্রেনের টিকিট হতে পারে 'সোনার হরিণ'

এবার ঈদেও ট্রেনের টিকিট হতে পারে 'সোনার হরিণ'

ছবি: ফাইল

তৌফিকুল ইসলাম বাবর, চট্টগ্রাম

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২২ | ১৪:২৮

তুলনামূলক ব্যয়-সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক হওয়ায় ট্রেনে যাত্রীর চাপ সবসময়ই বেশি থাকে। ঈদের সময় সেই চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। ফলে যাত্রীর প্রত্যাশা মেটাতে প্রতি বছরই গতানুগতিক বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নিয়ে থাকে রেলওয়ে। তবে এই ব্যবস্থা যাত্রীর চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ফলে প্রতিবছরের মতো আসন্ন ঈদুল আজহায়ও 'সোনার হরিণ' হয়ে উঠতে পারে ট্রেনের টিকিট।

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে। এরই অংশ হিসেবে কয়েকটি রুটে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর পাশাপাশি দূরপাল্লার নিয়মিত ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হবে। তবে ট্রেনে যুক্ত করার মতো বাড়তি বগি (কোচ) নেই রেলে। ফলে পুরোনো বগি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে রেলওয়ের কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে অর্ধশতাধিক বগি।

গত ঈদুল ফিতরে এই কারখানায় ৭২টি পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় বগি মেরামত করা হলেও এবার সেটা সম্ভব হচ্ছে না। লোকবলের অভাব ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বাড়তি চাপ নিতে পারছে না পাহাড়তলী কারখানা। ফলে এবার ৫০টির বেশি বগি মেরামত করা যাচ্ছে না।

আগামী ১ জুলাই থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। অগ্রিম টিকিট নেওয়া যাত্রীরা ৫ জুলাই থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করবেন। ফলে এই সময়ের মধ্যে রেলের কারখানায় জরাজীর্ণ বগিগুলো মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তুলতে কাজ করছেন কারখানার কর্মীরা।

রেলওয়ের পাহাড়তলী কারখানার কর্মব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রাশেদ লতিফ সমকালকে বলেন, দূরপাল্লার গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোতে সাধারণত ১৪ থেকে ১৬টি পর্যন্ত বগি যুক্ত করা হয়। তবে ঈদে যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হয়। এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কারখানায় ৫০টি পুরোনো বগি মেরামত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি বগি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে।

পাহাড়তলী কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে কারখানায় রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলছে। ২৩ জুন পর্যন্ত ২৮টি বগি মেরামত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২২টি বগি মেরামত কাজ দ্রুত শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারখানার কর্মীরা। সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানা থেকে আরও বেশি সুফল পাওয়ার সুযোগ থাকলেও লোকবলের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। কারখানার কর্মব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রাশেদ লতিফ জানান, এখানে দুই হাজার ১৫০ জন লোকবল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র হাজারখানেক।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, বগির পাশাপাশি সংকট রয়েছে পর্যাপ্ত লোকোমোটিভেরও (ইঞ্জিন)। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। এসব ইঞ্জিন রেলের বহরে যুক্ত হওয়ায় বিদ্যমান ইঞ্জিন সংকট কিছুটা কমলেও এখনও ঘাটতি রয়েই গেছে। লোকোমাস্টার (চালক) সংকটের কারণেও ইঞ্জিনগুলো থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া স্টেশন মাস্টার, সহকারী মাস্টার ও টিটিসহ মাঠ পর্যায়ে ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ পদে লোকোবলের অভাব রয়েছে।

আরও পড়ুন

×