ঘিওরে বিয়ের তিন মাসের মাথায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

প্রতীকী ছবি
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২২ | ১০:২৩ | আপডেট: ২১ জুলাই ২০২২ | ১০:২৩
বিয়ের তিন মাসের মাথায় সুমি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়িতে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের স্বামী রূপক আহমেদ ও তার মা রৌশন আরাসহ বাড়ির সবাই পলাতক।
বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার শোলধারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমি কাকজোড় গ্রামের রহমত আলী মেয়ে। আর স্বামী রূপক শোলধারা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। রূপক মানিকগঞ্জ জজকোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করে। গত ঈদুল ফিতরের পর দিন তাদের বিয়ে হয়েছিল।
রূপকদের প্রতিবেশী নার্গিস আক্তার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রূপকের বাড়ি থেকে তার মায়ের চিৎকার শুনে তাদের বাড়ির গেটের সামনে যান। এ সময় রূপকের মাকে রূপককে উচ্চস্বরে বলতে শোনা গেছে- 'একি করলি'। এই কথা শোনার পর বাড়ির ভেতরে ঢুকতে চাইলে তারা ঢুকতে দেননি। তাদের বাড়িতে কিছুই হয়নি জানিয়ে সবাইকে চলে যেতে বলেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ এসে দরজা খুলে রক্তাক্ত অবস্থায় রূপকের স্ত্রীর গলাকাটা লাশ পায়।
সুমির চাচা মৃনাল হোসেনের দাবি, রূপক সুমিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মা ও ছেলে পালিয়ে গেছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু বলেন, দুপুরের দিকে নিহতের মা ও আরেক নারী তার বাড়িতে গিয়ে জানায়, সুমীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ের শাশুড়িকে কে যেন গলায় আঘাত করেছে। এর পরপরই থানায় থেকে ফোন পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যান।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, দুপুরের দিকে রূপকের মামা পরিচয়ে এপিপি রৌশন আলী নামে একজন ফোন করে জানান, তার ভাগ্নে বউ সুমি আক্তার তার বোন রৌশন আরাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। এ জন্য একটি জিডির প্রয়োজন। লোক পাঠানো হচ্ছে যাতে জিডি করে দেন। এরপর পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ ও রক্ত দেখে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের খবর দেন। পরে শিবালয় সার্কেল এএসপি লাবনী আক্তারসহ তিনি ঘটনাস্থলে যান।
এদিকে, রূপকের মাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে বা অন্য কোথাও নিতে দেখেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
- বিষয় :
- গলা কেটে হত্যা
- হত্যা
- গৃহবধূ হত্যা