বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ
সেই রাতের ভয়াবহতার বর্ণনা দিলেন যাত্রী

বাসের যাত্রী আলী হাসান। ছবি: সমকাল
গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২২ | ০৫:১২ | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২২ | ০৫:১২
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন এক যাত্রী। তিনি বুধবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথে সেই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।
ওই যাত্রীর নাম আলী হাসান। তিনি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা।
আলী হাসান সমকালকে বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০ টা ২০ মিনিটে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কাছিকাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঈগল পরিবহন নামের গাড়িতে উঠি। সিরাজগঞ্জ রোডে গিয়ে যখন গাড়ি থামায় তখন ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী ১০-১২ জন যাত্রী মাস্ক পরে ওই গাড়িতে উঠে পেছনের দিকে বসে। তারপরে যখন গাড়ি ছেড়ে দেয় তার কিছুক্ষণ পরেই আমি ঘুমিয়ে যাই। ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠে দেখি কয়েকজন যুবক বলতেছে যে, এই সুপার ভাইজারকে আগে বেঁধে ফেলো। তখন রাত আনুমানিক ১টা বাজে। গাড়িটা তখন যমুনা সেতুর ওপারে অর্থাৎ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে। ড্রাইভার সুপারভাইজারকে বেঁধে ফেলার পরে ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে একজন গাড়ি চালিয়ে যায় এবং প্রতিটি সিটের যাত্রীদের কাছে ধারালো দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তারা দাড়ায়। সবার মুখ, হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে।পরে সবার কাছে টাকা,মোবাইল থেকে শুরু করে যা যা ছিলো সব কিছু তারা নিয়ে নেয়। আমার কাছে নগদ ৭০০ টাকা ছিলো, একটি মোবাইল ও একটি এটিএম কার্ড ছিলো।
তিনি আরও বলেন, তাদের কাছে দেশিয় অস্ত্র ছাড়াও পিস্তলও ছিল। একপর্যায়ে তারা একটি মেয়ে যাত্রীকে পেছনের দিকে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
বাসের ওই যাত্রী বলেন, বাসের প্রথম দিকের সিটের এক যাত্রী ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলে টের পেয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে। এছাড়া আরও কয়েকজন যাত্রীকে তারা ছুরিকাঘাত করে।
বাসের মধ্যেই ডাকাতরা ভাগ-বাটোয়ারা করেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ভাগ-বাটোয়ারা শেষে গাড়িটি স্লো করে ড্রাইভার লাফ দিয়ে নেমে যায়। পরে আমাদের গাড়িটি একটি রাস্তার পাশে গিয়ে পড়ে। পরে রাত ৩টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশ থেকে ফায়ার সার্ভিস,পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।
- বিষয় :
- বাসে ডাকাতি
- ধর্ষণ
- ভয়াবহ বর্ণনা
- যাত্রী