গাজীপুরে চলন্ত বাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ
দায় স্বীকার করে পাঁচ আসামির জবানবন্দি

গাজীপুরে চলন্ত বাসে পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২২ | ১২:৫৯ | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২২ | ১৩:০১
গাজীপুরে স্বামীকে মারধরের পর ফেলে দিয়ে চলন্ত বাসে পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি জবানবন্দি দিয়েছে।
রোববার গাজীপুরের পৃথক তিন আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এ ছাড়া বিকেলে গাজীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫-এর বিচারক রিফাত আরা সুলতানা ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নেন।
গাজীপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সানোয়ার হোসেন বলেন, পৃথক তিন আদালতে পাঁচ আসামির দেওয়া জবানবন্দি এক ও অভিন্ন। তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে। পরে ধর্ষণের শিকার নারীরও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ হাজির করা হয় আসামি রাকিব মোল্লা ও সুমন হাসানকে। বিচারক ইসরাত জেনিফার জেরিন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। একই সময় আসামি মো. সজীব ও শাহীন মিয়াকে হাজির করা হয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক এখলাস উদ্দিনের এজলাসে।
এদিকে আসামি সুমন খানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক জুবাইদা নাসরিন বর্ণা। চলন্ত বাসের ভেতরে স্বামীকে মারধরের পর রাস্তায় ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে এক এক করে পাঁচজনই ধর্ষণ করে বলে জবানবন্দি দেয় সজীব ও শাহীন।
পরে গাজীপুরের পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকালে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় ওই নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টহল দল তাঁর কাছে যায়। তিনি পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত জানালে জেলা পুলিশকে অবহিত করা হয়। এরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথকভাবে মহাসড়কে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওইদিন দুপুরে তাকওয়া পরিবহনের বাসটি জব্দ করে। এ সময় দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা হলো- নারায়ণগঞ্জের রাকিব মোল্লা, নেত্রকোনার সুমন খান, ময়মনসিংহের মো. সজীব, মো. শাহীন মিয়া ও খুলনার সুমন হাসান।
এদিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক এ এন এম আল মামুন ও সানজিদা হক এই পরীক্ষা করেন। পরে ডা. এ এন এম আল মামুন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি নওগাঁ থেকে গাজীপুরের ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকার ভাড়া বাসায় আসছিলেন পোশাককর্মী এক দম্পতি। শনিবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে স্বামীকে মারধর করে ফেলে দেওয়ার পর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে বাসের স্টাফরা। এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।