এবার সিলেটে দুই পরিবারের ৯ সদস্য অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২ | ০৭:৩৮ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২২ | ০৭:৩৮
ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবার ট্রাজেডির পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো সিলেট নগরীতে। এবার সিলেটে দুই পরিবারের ৯ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
শনিবার সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার বিমানবন্দর এলাকার বড়শালা থেকে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, চুরি করার আগে খাবারের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ানোর কারণে তারা অচেতন হয়ে পড়েন।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির সমকালকে জানান, বড়শালা এলাকার সিলেট ক্লাবের পেছনে টিনশেডের একটি একতলা বাসায় দুটি পরিবার ভাড়া থাকেন। শুক্রবার রাতে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তাদের রান্নাঘরের জানালা খুবই দুর্বল।
তিনি আরও জানান, বাইরে থেকে রান্নাঘরে থাকা খাবারের সঙ্গে কেউ কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। এর ফলে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘর থেকে কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে সুস্থ থাকা পরিবারের সদস্য সাহেদ আহমদ জানিয়েছেন। সবাই অসুস্থ থাকায় তাদের সাথে কথা বলা যায়নি। তবে তারা সবাই বিপদমুক্ত রয়েছেন।
রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়া বেরসরকারি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের চাকরিজীবী নিগার সুলতানা জানিয়েছেন, তার ভাই সাহেদ শুক্রবার রাতের খাবার খাননি। এদিন ভোর ৫টার দিকে পাশের কক্ষ থেকে তাদের মা ও বোনের চিৎকার শুনে সাহেদ আহমদ এগিয়ে গিয়ে দেখেন মা ও বোন চোখে ঝাপসা দেখছেন। কয়েকবার বমিও করেন তার মা। তিনি রান্নাঘরের জানালার গ্রিলও কাটা অবস্থায় দেখতে পান।সুলতানা জানান, পাশের ইউনিটের লোকজনকে ডাকতে গিয়ে পরিবারের আরও ৫ সদস্যের একই অবস্থা দেখতে পান তার ভাই সাহেদ। এরপর অ্যাম্বুলেন্সযোগে অসুস্থ সবাইকে সকালে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ২৬ জুলাই ওসমানীনগরে একটি বাসা থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রফিক ও তার ছেলের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকুলের মেয়ে সামিরাও মারা যান।