ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

পাঁচ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করায় ব্যাংক ম্যানেজারকে শোকজ

পাঁচ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করায় ব্যাংক ম্যানেজারকে শোকজ

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৯:৪৪ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৯:৪৪

চট্টগ্রামে আইন ভেঙে ২৬ বছরের পুরোনো মামলায় ঋণখেলাপিকে পাঁচ কোটি টাকার সুদ মওকুফ পাইয়ে দেওয়ার ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক ম্যানেজারকে শোকজ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সুদ মওকুফ সুবিধা ব্যাংকিং নীতিমালার আওতায় স্বচ্ছতার সঙ্গে মঞ্জুর করা হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের যুগ্ম পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের জজ মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

আগামী ২ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন ও অগ্রণী ব্যাংক নগরের খাতুনগঞ্জ শাখার তৎকালীন ব্যাংক ম্যানেজারকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, ২৬ বছরের পুরোনো মামলায় আইনগত খরচ আদায় না করে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন দাখিল করায় ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অগ্রণী ব্যাংকের এমডি বরাবর আদেশের কপি পাঠানো হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে হাজির হতে বলেছেন আদালত।

আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, অগ্রণী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ১৯৯৬ সালে ৯৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৩ টাকা ঋণ নেন মেসার্স রেহান ইন্টারন্যাশনাল ও তার মালিক মনজুরুল আমিন চৌধুরী এবং মনজুরুল আজিম চৌধুরী। কিন্তু ২৬ বছর ধরে ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় তা বেড়ে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এ টাকার মধ্যে ৫ কোটি ২ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে মাত্র ৩৭ লাখ টাকা দায় নির্ধারণ করে তা পরিশোধ করতে ঋণখেলাপিদের বলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। খেলাপিদের পক্ষে স্বাক্ষরবিহীন আবেদন গ্রহণ করে ব্যাংকটি এ সুবিধা পাইয়ে দেয়।

আদেশে বলা হয়, খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংক ২০০৬ সালে মামলা করে। ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ খেলাপি ঋণ আদায়ে আইনগত পদক্ষেপ জোরদার করেনি। দুই বার সমঝোতা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। দুই বার ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণ আদায়ে ছিল একেবারেই নির্লিপ্ত।

আরও পড়ুন

×