আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ৫

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

বুধবার সকালে উপজেলার হেমনগর এলাকার হেমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় উভয় পক্ষকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। উভয় পক্ষের হামলায় হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোপালপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও হেমনগর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রোজ তালুকদার ভিপি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার হীরা গুরুতর আহত হয়েছেন। 

পরে আহতদের উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এজেন্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির গোলাম রোজ তালুকদার ভিপি তার ছেলে ও কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে গোলাম রোজের মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিএনপির কর্মী সমর্থকরা হেমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত হতে থাকে। তারাও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেও ওপর হামলা চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার হীরাসহ কয়েকজন আহত হয়। 

 গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রর্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান জানান, বুধবার গোপালপুরের হেমনগর ও ঝাওয়াইল এই দুটি ইউনিয়নে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট শুরুর আগে ভোট কেন্দ্রের বাইরে হেমনগর ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। । তবে ভোট কেন্দ্রের ভেতর কোন প্রভাব পরেনি। যথা সময়েই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।